আবাসিক ফ্ল্যাটে মাদকের রমরমা কারবার (ভিডিও)

Other

সর্বনাশা মাদকে সয়লাব এখন দেশের অভিজাত এলাকাও। সম্প্রতি গুলশান, বনানী, উত্তরায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর বেশ কয়েকটি অভিযানে দেখা যায় আবাসিক ফ্ল্যাটে মিনিবার গড়ে চলছে মাদকের রমরমা কারবার। দেশের অনুমোদিত ক্লাব, বারগুলো ছাপিয়ে আবাসিক ফ্ল্যাটে আসর বসিয়েছে এক শ্রেণীর সিন্ডিকেট চক্র।

যেখানে বিত্তশালীদের কৌশলে ব্ল্যাকমেইলিং করে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে কোটি টাকা।

মাদকের এমন সর্বনাশ থেকে রক্ষায় অভিযান ও নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।  

মাদকের বিষ গ্রাম থেকে ছড়িয়েছে শহর-মফস্বলের অলিগলি। ধারণা ছিল, ব্যবহারের গন্ডি নিম্ন, নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণী পর্যন্ত। সে পরিকল্পনায় রাষ্ট্রও যুদ্ধ ঘোষণা করে চালিয়েছে অভিযান।

কিন্তু চাঞ্চল্যের তৈরি হয় সম্প্রতি অভিজাত পাড়ার চাকচিক্যে ঠাসা ফ্ল্যাটে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর অভিযানে। উচ্চবিত্তের মুখোশে থাকা, চিত্র তারকা, মডেলদের মত এক শ্রেণীর সিন্ডিকেট চক্র আবাসিক ফ্ল্যাটগুলোতে বসিয়েছে উচ্চ নেশাদ্রব্য আইস, এলএসডিসহ মাদক ও মদের মিনিবার। অভিযোগ রয়েছে, উঠতি তরুণ ও বিত্তশালীদের নেশার প্রলোভনে ব্ল্যাকমেইলি করে হাতিয়ে নিত কোটি টাকা।

যুব সমাজ ধ্বংসের নতুন ফাঁদ পেতে নাইট ক্লাবের আদলে গড়ে তোলা এসব আসরে ড্যান্স পার্টির নামে চলত অবৈধ কর্মকান্ডও। সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলাবাহিনী অভিযানে রাজধানীতেই শোবিজের নায়িকা, মডেল, প্রযোজক থেকে শুরু করে এই চক্রের এক ডজনেরও বেশি নারী-পুরুষকে আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয় পর্ণোগ্রাফি তৈরির সরঞ্জামও।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাদকের গ্যাং কালচার তৈরি করে সমাজকে নষ্ট করছে চক্রটি। তাই এই চক্রের মূলোৎপাটনে বাড়াতে হবে অভিযান।

একইসঙ্গে সমাজের সকলেরই সহযোগীতাও জরুরী বলে মনে করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।


আরও পড়ুন

সৈকত দূষণের বড় উৎস কোকা-কোলা

টিকা আসবে আরও এক কোটি : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

পুলিশ সদরদপ্তর থেকে ৭১ কর্মকর্তাকে বদলি

৩ দিনের জন্য ২ কোটি নিয়েছিলেন পামেলা অ্যান্ডারসন


news24bd.tv/এমি-জান্নাত