সক্রিয় পাচারকারী চক্র, চাকরির প্রলোভনে টার্গেট দরিদ্র নারীরা

Other

ভারতে পাচার হওয়া মেয়েকে উদ্ধারের চেস্টায় একই চক্রের হাতে বিক্রি হলেন মা। পরে তাদের হাত থেকে পালিয়ে তিন মাস মেয়েকে খুঁজতে কখনও কলকাতা কখনও চষে বেড়িয়েছেন দিল্লির অলিগলি। অবশেষে পশ্চিম বঙ্গ ও বিহারের সীমান্তবর্তি এলাকা কিশানগঞ্জের নিষিদ্ধ পল্লি থেকে উদ্ধার করেন মেয়েকে। এমনি লোমহর্শক ঘটনা ঘটেছে রাজধানীর মিরপুর শাহপরান বস্তিতে।

 

এভাবেই নিজের ভারতে পাচার হয়ে যাওয়ার কথা বলছিলেন এই কিশোরী। ১৫ জানুয়ারী বিউটি পার্লারে চাকুরির নামে প্রতিবেশি মামা নাগিন সোহাগ ও কাল্লুর সাথে বাসা থেকে বেড়িয়ে যায় সে। কিন্তু সাতক্ষিরায় পৌছালে বিল্লাল নামে এক ব্যক্তির কাছে এই কিশোরীকে বিক্রি করে দেয় কাল্লু ও সোহাগ। পরে তাকেসহ আরো তিনটি মেয়েকে অবৈধভাবে নিয়ে যাওয়া হয় ভারতে।

সেখান থেকে বাসে করে তাকে নেয়া হয় কিশানগঞ্জের নিষিদ্ধ পল্লিতে। চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন।

মেয়েকে ফিরে পেতে মরিয়া বাবা-মা নিখোঁহের দুই দিন পর পল্লবী থানায় অভিযোগ দেন। এরপরও কোন সমাধান না পেলে নিজেই ভারত থেকে মেয়ে কে আনার সিদ্ধান্ত নেন। পরিচয় গোপন করে চাকরির খোজে  কাল্লুর কাছেই যান তিনি। একই ভাবে ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় কাল্লু মাকেও বিক্রি করে দেয় দালালদের হাতে। পাচার হয় ভারতে। কিন্তু সেই দালালদের কাছ থেকে পালাতে সক্ষম হন মা। এরপর খুঁজতে শুরু করেন মেয়েকে। পরে মিথুন নামে ভারতীয় এক ব্যক্তির মাধ্যম্যে মেয়ের সন্ধান পান মা। পরে কিশানগঞ্জ জনপ্রতিনিধির সহায়তার সেই পল্লি থেকে উদ্ধার করেন মেয়েকে।

মেয়েকে নিয়ে দেশে ফিরতেও পরেন বিপাকে। সীমান্ত পার হওয়ার সময় বিএসএফের কাছে ধরা পরেন মা ও মেয়ে। পরে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির কাছে হস্তান্কর করা হয় তাদের।  

আরও পড়ুন:

যতক্ষণ না পুলিশ আসবে, মিডিয়া আসবে লাইভ চলবে: পরীমনি

আবারও মুখোমুখি ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা

একসঙ্গে দুই ছেলে ও দুই মেয়ের জন্ম


 

দেশে ফিরে আসামীদের ধরতে আবারো পল্লবী থানা পুলিশের কাছে গেলেও মামলা নেয়নি তারা বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের। এ বিষয়ে, মিরপু্র উপ-পুলিশ কমিশনার বরাবর চিঠি দিলেও সে বিষয়ে কিছুই জানেনা পুলিশের এই কর্মকর্ত।

স্থানীয়দের অভিযোগ নাগিন সোহাগ ও কাল্লুর এই মামা-ভাগ্নে চক্রের ফাঁদে পা দিয়ে পাচার হয়েছে এই বস্তি প্রায় অর্ধ শত নারী পাচারের শিকার হয়েছে।  

news24bd.tv/আলী