হাঁপানি নিয়ন্ত্রণের উপায়

প্রতীকী ছবি

হাঁপানি নিয়ন্ত্রণের উপায়

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

আমাদের দেহের মধ্যে ফুসফুস থেকে বাতাস ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য রয়েছে অসংখ্য নালী। অ্যাজমা বা অন্য কোন কারণে যদি এসব নালী সংকুচিত হয়ে যায় তাহলে শরীর প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পায় না। ফলে দেখা দেয় হাঁপানীসহ নানা শারীরিক জটিলতা।

ফুসফুসে প্রদাহ সৃষ্টি করে অ্যালার্জি।

আর অ্যালার্জি হল হাঁপানির অন্যতম কারণ। এ ছাড়াও ধূলা-বালি, পশু-পাখির লোম, ময়লা-আবর্জনা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ শ্বাস নালীর প্রদাহ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে। বংশগত কারণেও এ রোগ হতে পারে।  

ধূমপান হাঁপানী রোগের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে।

মা ধূমপান করলে শিশুর হাঁপানি হতে পারে।  

হাঁপানি হলে রোগী অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন লক্ষণ দেখা দিতে পারে। যেমন- শ্বাসকষ্ট, ঘন ঘন কাশি, বুকের মধ্যে সাঁই সাঁই শব্দ করা। এ রোগের কারণে ঘুমে ব্যাঘাত, বমি হওয়া, ক্লান্তিবোধ ও খাবার খেতে অসুবিধাও হতে পারে।

ঋতু পরিবর্তনের সময় সর্দিজ্বর হলে হাঁপানির প্রবণতা বাড়ে। গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স বা অ্যাসিডিটি হলেও অ্যাজমার প্রকোপ  বাড়ে।

বিশেষ্ণরা হাঁপানি চিকিৎসায় নিয়মিত ইনহেলার ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। এতে রোগের দ্রুত উপশম হয়।

বর্তমানে অ্যাজমার চিকিৎসায় কর্টিকোস্টেরয়েড ব্যবহার করা হয়। এগুলি আমাদের শরীরের জন্য মোটেও ক্ষতিকর নয়।  

মনে রাখতে হবে স্থুলতা হাঁপানির সমস্যাকে বাড়িয়ে তোলে। তাই ওজন ঠিক রাখতে সঠিক ডায়েট ও নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত।

শিশুকাল থেকে বয়োবৃদ্ধ পর্যন্ত যেকোন বয়সেই অ্যাজমা হতে পারে। এর থেকে বাঁচার উপায় নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা ও চিকেন পক্সের টিকা দেওয়া।   

অ্যাজমা সম্পূর্ণ নির্মূল সম্ভব না হলেও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে  আনা সম্ভব। এজন্য ঠান্ডা পানির ব্যবহার থেকে দূরে থাকতে হবে।  

ধূমপান বর্জন করতে হবে। ধূলা-বালিসহ অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্নতা থেকে দূরে থাকতে হবে।  

মানসিক চাপ হাঁপানিকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। স্বাভাবিক ওজন ও নিয়মিত ব্যায়াম হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

নিউজ টোয়েন্টিফোর/এএস

সম্পর্কিত খবর