বঙ্গবন্ধু জীবনের শেষ সময়েও বিশ্বাস করতে পারেননি দেশের কেউ তাকে হত্যা করতে পারে

Other

বঙ্গবন্ধু কখনও মাথা নিচু করে জেলখানায় ঢোকেননি, বেরও হননি। পুরোটা জীবন তিনি দিয়েছেন দেশের মানুষের জন্য। তাই জীবনের শেষ সময়েও বিশ্বাস করতে পারেননি যে দেশের কেউ তাকে হত্যা করতে পারে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্মৃতিচিারণ করতে গিয়ে এভাবেই বলছিলেন ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টচার্য।

 

জীবনের চার হাজার ৬৮২ দিন কারাগারে ছিলেন বঙ্গবন্ধু। সেই কারাগারেই ১৯৬৭ সালের ১৭ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা হয় পঙ্কজ ভট্টাচার্যের। কথা হয় রাশিয়ার পন্ডিত অধ্যাপক গনকা ভস্তির লেখা ‘এন্ড টেকনিক্যাল স্টাডি অব পাকিস্তান’ নিয়ে। যে বইয়ে লেখা ছিল যে, বাঙালি জাতির দীর্ঘ শোষণ ও শাসনের পর, এর রক্তাক্ত পরিসমাপ্তি ঘটবে।

বঙ্গবন্ধু বইটির সাথে দ্বিমত পোষণ করেন । বলেন, আন্দোলন সৃষ্টি হলে পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী আন্তর্জাতিক চাপে ছয় দফা মেনে নিতে বাধ্য হবে।

বঙ্গবন্ধু মাথা উঁচু করে কারাগারে প্রবেশ করতেন আর বের হতেন বলে তাকে জানিয়েছিলেন।

বঙ্গবন্ধু তার নেতাকর্মীদের মন বুঝতেন। পঙ্কজ ভট্টচার্যকে বলেছিলেন যে, সশস্ত্র আন্দোলন হলে কে কে তার সঙ্গে থাকবেন জানতেন তিনি।

আরও পড়ুন:

যতক্ষণ না পুলিশ আসবে, মিডিয়া আসবে লাইভ চলবে: পরীমনি

আবারও মুখোমুখি ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা

একসঙ্গে দুই ছেলে ও দুই মেয়ের জন্ম


 

ষড়যন্ত্র চলছিল বুঝতেন বঙ্গবন্ধু। অনেকের মত সাবধান করেছিলেন পঙ্কজ ভট্টচার্যও। কিন্তু বঙ্গবন্ধু তার ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বাসা থেকে সরতে চাইতেন না।

বঙ্গবন্ধুর সেই বিশ্বাসকে উড়িয়ে দিয়ে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে সংঘঠিত হয় সেই নির্মম হত্যাকান্ড, যাতে দেশ হারায় জাতির পিতাকে।   

news24bd.tv/আলী