আইপি টিভির নাম ভাঙ্গিয়ে চলছে চাঁদাবাজি ও হয়রানি

Other

জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা বলছে, আইপি টিভি কোন ধরনের সংবাদ প্রচার করতে পারবে না। অথচ সেই আইপি টিভির নাম ভাঙ্গিয়েই চলে চাঁদাবাজি, হয়রানি। এসব ভূঁইফোঁড় আইপি টিভির মালিকদের কেউ শিবিরকর্মী, কেউবা বিতর্কিত ফ্রীডম পার্টির নেতা। অনেকে তো আইপি টিভির নাম দিয়ে চালাচ্ছেন ইউটিউব চ্যানেল।

 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের স্বার্থেই আইপি টিভিগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনার সময় এসেছে। সঠিক ভাবে যাচাই বাছাই ছাড়া কোন অবস্থাতেই আইপিটিভি অনুমোদন দিতে চায় না তথ্য মন্ত্রণালয়।

বিটিআরসির তথ্য মতে দেশে এ পর্যন্ত সচল ইন্টারনেট প্রটোকল বা আইপি টেলিভিশন আছে ২৫টি। এ পর্যন্ত অনুমোদন প্রাপ্ত আইপি টিভির সংখ্যা ৬১টি।

আর তথ্যমন্ত্রণালয়ে আবেদন জমা পড়েছে ৫৫৯টি। এর বাইরে ঠিক কি পরিমানে অবৈধ আইপি টিভি চলছে তার কোন সঠিক তথ্য পরিসংখ্যান নেই।

জনতা টিভির মালিক আতাউল্লাহ খানের আসল পরিচয় তিনি বিতর্কীত ফ্রিডম পার্টির নেতা। চট্টগ্রামের সি ভিশন আইপি টিভির মালিক আরিয়ান লেলিন চা্ঁদাবাজ ও এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী। এছাড়াও সিটিজি ক্রাইমের মালিক টিনু অস্ত্র মামলার আসামী, ছাত্রদল নেতা। এই হলো আইপি টেলিভিশনের মালিকদের বাস্তবতা।

অথচ জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা ২০২০ এ বলা হচ্ছে অইপি টিভি কোনরূপ সংবাদ প্রচার করতে পারবে না। নীতিমালাল ব্যত্যয় হলে রয়েছে নিবন্ধন বাতিলের বিধানও।

ডাক ও টেলিযোগযোগ মন্ত্রী বলছেন, ভবিষ্যতে আইপি টিভির নিবন্ধন, যাচাই বাছাই ও নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে তথ্য মন্ত্রণালয়।

আইপি টিভি নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রনে আরও কঠোর হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন তথ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন:

যতক্ষণ না পুলিশ আসবে, মিডিয়া আসবে লাইভ চলবে: পরীমনি

আবারও মুখোমুখি ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা

একসঙ্গে দুই ছেলে ও দুই মেয়ের জন্ম


 

প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের স্বার্থেই এখন থেকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে লাগামহীন আইপি টিভিগুলোকে।

কোন অবস্থাতেই অনুমোদনহীন আইপি টিভি যেন চলতে না পারে সেদিকে লক্ষ রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

news24bd.tv/আলী