আগেও একবার কাবুল দখলে নিয়ে যা করেছিল তালেবানরা!

আগেও একবার কাবুল দখলে নিয়ে যা করেছিল তালেবানরা!

অনলাইন ডেস্ক

আফগানিস্তানে তালেবানদের আগ্রাসন থেমে নেই। একের পর এক প্রদেশ দখলে নিচ্ছে তারা। ইতিমধ্যেই দেশটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় বৃহত্তম শহর দুটি তালেবানের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। এর ফলে রাজধানী কাবুল কার্যত ঘেরাও হয়ে পড়েছে।

আফগানিস্তানের অর্ধেকেরও বেশি প্রাদেশিক রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ এখন তালেবানদের হাতে। তারা রাজধানী কাবুলের দিকে এগিয়ে আসছে। কাবুল থেকে প্রায় ১১ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে তালেবানরা। বিভন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এমন খবরই প্রকাশ করেছে।

এর আগে ১৯৯৬ সালে কাবুল দখল করে নেয় তালেবানরা। দীর্ঘ চার বছর গৃহযুদ্ধের পর তারা আফগানিস্তানে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। সরকারি অফিস থেকে উড়ানো হয় তালেবানের পতাকা। তারপর তারা নিজেদের মতো করে শহর পরিচালনা করে।

কাবুল দখলের পর দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নজিবুল্লাহকে প্রকাশ্যে হত্যা করে তালেবান। পরে তাদের নিয়ম অনুযায়ী কাবুলে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। নারীদের চাকরি করতে নিষেধ, মেয়েদের স্কুলে যেতে দেওয়া হতো না সে সময়। নারীদের মুখও ঢেকে রাখতে হতো। এছাড়াও নারীরা ঘরের বাইরে বের হলে তাদের সঙ্গে যেতো হতো কোনো পুরুষ সদস্য। পাথর মেরে মৃত্যুদণ্ড, অঙ্গ কেটে ফেলার মতো শাস্তি চালু করেছিল তালেবানরা।

এদিকে, তালেবান এখন উত্তর আফগানিস্তানের অধিকাংশ এবং আঞ্চলিক রাজধানীগুলোর অর্ধেকের বেশি দখল করে নিয়েছে। মার্কিন নিরাপত্তা সংস্থাগুলো অবশ্য তাদের সবশেষ মূল্যায়নে বলছে, তালেবান আগামী ৩০ দিনের মধ্যে কাবুলের দিকে এগুনোর চেষ্টা করতে পারে। তবে তারা এখন মাত্র ১১ কিলোমিটার অবস্থান করছে।  

এদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস আফগানিস্তানজুড়ে হামলা অবিলম্বে বন্ধ করে তালেবানকে আলোচনায় বসার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। শুক্রবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই আহ্বান জানান।

আরও পড়ুন


জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা

জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ইমরান খানের সমবেদনা

তরুণীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তে ধরা এনজিও মালিক, ৫ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে


গুতেরেস বলেন, তিনি তালেবানের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে শঙ্কিত। কারণ, তালেবান কর্তৃপক্ষ তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকাগুলোতে বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এসব বিধিনিষেধের প্রধান লক্ষ্য হলো নারী ও সাংবাদিকরা।

তিনি বলেন, আফগান বালিকা ও নারীদের কষ্টে অর্জিত অধিকার তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার প্রতিবেদন দেখা ভয়ংকর ও হতাশাজনক।

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস বলেন, এখনই সময় যুদ্ধ থামানোর ও আলোচনা করার। এখনই সময় দীর্ঘ গৃহযুদ্ধ এড়ানোর এবং আফগানিস্তানকে বিচ্ছিন্নতার শঙ্কা থেকে মুক্ত করার। সূত্র: বিবিসি।

news24bd.tv এসএম

এই রকম আরও টপিক