‘তালেবান’ অর্থ কিন্তু ‘ছাত্র’। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তারা আফগানিস্তান শাসন করেছিলো। এই পাঁচ বছরে, এমন কোনো অপরাধ নেই যা তালেবানরা করেনি। এর মধ্যে মানুষ হত্যা অন্যতম।
তারা যে শয়তানের অনুসারী, এটি মুসলিম বিশ্বও জানতো।এজন্য পাকিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, এবং সৌদি আরব ছাড়া, বিশ্বের আর কোনো দেশ এই পাঁচ বছরে তাদের স্বীকৃতি দেয়নি। পাকিস্তান দিয়েছিলো বাণিজ্যিক, ভৌগোলিক, ও রাজনীতিক কারণে, আর সৌদি আরব এবং আমিরাত দিয়েছিলো তেল বিক্রির কারণে।
তালেবান মূলত দেওবন্দী মৌলবাদী গোষ্ঠী।
যেকোনো ভিন্নমতাবলম্বীকে, তালেবান ঠান্ডা মাথায় খুন করতে দ্বিধা করে না। ২০০১ সালের জানুয়ারি মাসে, শুধু ইয়াকাওলাঙ ডিস্ট্রিক্টেই, মোল্লা ওমরের তালেবানরা ১৭৮ জন আফগান নাগরিককে হত্যা করেছিলো। এরকম হত্যাকাণ্ড, পাঁচ বছরে তালেবানরা, আফগানিস্তানের নানা ডিস্ট্রিক্টে নিয়মিত চালিয়েছে। এগুলোর প্রত্যেকটিতেই ওয়ার ক্রাইম, ক্রাইমস এগেইনশট হিউম্যানিটি, এবং জেনোসাইডের উপাদান ছিলো। কফি আনানের মতো ভদ্রলোক মহাসচিবও তালেবানের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
আফগান জনগণ দীর্ঘদিন ধরে ফুটবলের জীবন যাপন করছে। একবার রাশিয়ার লাথি, একবার তালেবানের লাথি, একবার আমেরিকার লাথি, আরেকবার তালেবানের লাথি, এই খেয়ে খেয়ে তাদের জীবন কাটছে। তালেবান যদি আফগান জনগণকে ভালোবাসতো, তাহলে তাদের ভোটাধিকার দিতো। কিন্তু তারা জানে, জনগণকে ভোটাধিকার দিলে, এবং সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করলে, আফগান জনগণ কখনো তালেবানকে ভোট দেবে না। তালেবানের পক্ষে আফগান জনগণের সমর্থন আছে, এটি তালিবানি ওয়েবসাইটগুলোর প্রোপাগান্ডা। এ ওয়েবসাইটগুলোর অবস্থাও তালেবানদের মতোই কুৎসিত। কোনোটির লিংক কাজ করে না, কোনোটির হোস্টিং এক্সপায়ার্ড, কোনোটির কন্টেন্ট লোড হয় না।
তালেবানের অধীনে কোনো রাষ্ট্র একশো বছর থাকলেও, তার কোনো অগ্রগতি হবে না। মানুষের অগ্রগতি তালেবানের কোনো লক্ষ্যই নয়। তালেবানের প্রধান লক্ষ্য, মানুষের উন্নতির মুখটিকে পেছন দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া।
আরও পড়ুন:
তালেবানের কাছে ক্ষমা চাইতে সেনা গর্ভনর দপ্তরে হাজারো আফগান সেনা
গনিকে হঠিয়ে আফগানিস্তানের ‘প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন’ আরেক গনি
নারীর অধিকার ও সংবাদমাধ্যমকে সম্মানের প্রতিশ্রুতি দিল তালেবানরা
তালেবানদের ব্যাপারে পোস্টে হাহা রিঅ্যাক্টকারীরা কিন্তু বাঙালি
মহিউদ্দিন মোহাম্মদ (ফেসবুক থেকে নেওয়া)
news24bd.tv তৌহিদ