দুই দশকেও শান্তির দেখা মেলেনি আফগানিস্তানে (ভিডিও)

Other

দুই দশকেও শান্তির দেখা মেলেনি আফগানিস্তানে। বরং আগের চেয়ে এখন আরো বেশি শক্তিশালি হয়ে উঠেছে তালেবান। ২০ বছর ধরে আফগানিস্তানে সামরিক এবং নিরাপত্তা তৎপরতার জন্য বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রকে চড়া মূল্য দিতে হয়েছে। এ সময়ে হাজার হাজার সৈন্যের দেহ কফিনবন্দিও হয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, দীর্ঘতম যুদ্ধের ফলাফলটা শূন্য হলেও প্রাণ দিতে হয়েছে হাজার হাজার মানুষকে।

কট্টর সুন্নী  ভাবাদর্শ নিয়ে ১৯৯০ এর দশকের শুরুতে তালেবান আন্দোলনের জন্ম। ১৯৯৪-এর নভেম্বরে আফগানিস্তানের কান্দাহারে প্রথম তালেবান কমিটি কাজ শুরু করে। মাত্র দুই বছরে আফগান প্রেসিডেন্ট বুরহানুদ্দিন রব্বানি সরকারকে উৎখাত করে রাজধানী কাবুল দখল করে তারা।

জারি হতে শুরু করে তালেবানের আইন। প্রকাশ্যে ফাঁসি দেয়া, মুসলিম পুরুষদের দাড়ি রাখা এবং নারীদের বোরখা পরা বাধ্যতামূলক করা হয়। টেলিভিশন, গান শোনা ও সিনেমা দেখা নিষিদ্ধ হয়। ১০ বছর বয়সী মেয়েদের পড়া লেখাও নিষিদ্ধ করে তালেবান সরকার।   

নাইন-এলেভেনের ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পেছনে তালেবানের বিরুদ্ধে আল-কায়েদাকে আশ্রয় দেয়ার অভিযোগ তোলে মার্কিন সরকার। কথিত সন্ত্রাসবাদবিরোধী অভিযানের নামে মিত্র দেশের সেনা ও ন্যাটো বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে আফগানিস্তানে অভিযান শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। দ্রুতই দেশটির তৎকালীন ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারের পতন ঘটায় তারা।

এরপর একের পর এক রক্তক্ষয়ী লড়াই আর আফগানিস্তানজুড়ে সহিংসতার অবসান কখনোই ঘটেনি। দেখা মেলেনি প্রত্যাশিত শান্তির। দুই দশকে ২,৩০০ মার্কিন সেনা  মারা গেছে। আরো কয়েকটি দেশের কয়েকশ সৈন্য প্রাণ হারিয়েছে দুই দশকের এই যুদ্ধে। তবে এই যুদ্ধে বহুগুণ বেশি হতাহত হয়েছেন আফগানরা। আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর ৬০ হাজারেরও বেশি সদস্য মারা গেছেন। সাধারণ বেসামরিক আফগানের মৃত্যুর সংখ্যা তার দ্বিগুণ। আর অর্থ-কড়ি ব্যয় হয়েছে পাহাড় সমান।


আরও পড়ুন:

টাকাভর্তি গাড়ি ও একটি হেলিকপ্টার নিয়ে পালালেন গনি

বাংলাদেশে গণহত্যা : ৫০ বছর কেটে গেছে, কিন্তু দাগ রয়ে গেছে

জনগণের ওপর প্রতিশোধ নেওয়া হবে না: তালেবান মুখপাত্র

শ্রাবন্তীকে জন্মদিনের সেরা উপহার দিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়


চলতি আগস্ট মাসের মধ্যে ন্যাটোসহ সব বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের মার্কিন সরকারের সিদ্ধান্ত কার্যকর শুরু হলে আবারো মাথাচাড়া দেয় জঙ্গীগোষ্ঠী তালেবান। দুই দশক তাড়া খেয়ে বেড়ানো সেই তালেবানের কব্জায় এখন আবার আফগানিস্তানের ক্ষমতা। দ্রুতগতিতে তালেবানের অগ্রযাত্রায় সবাই অবাক হলেও আফগান কমান্ডাররা কিন্তু বিস্মিত নন। তাঁরা জানতেন, আফগান সরকারি বাহিনীর দুঃখ–দুর্দশায়  কখনো নজর দেওয়া হয়নি। পশ্চিমা দেশ–সমর্থিত প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির সরকারের ভেতরে গেড়ে ছিল দুর্নীতির লম্বা শিকড়।

news24bd.tv/এমি-জান্নাত