আশুরায় যে কাজগুলো থেকে বিরত থাকবেন

আশুরায় যে কাজগুলো থেকে বিরত থাকবেন

অনলাইন ডেস্ক

আশুরা অর্থ দশম। মহররম মাসের ১০ তারিখ আশুরা নামে পরিচিত। আশুরা শব্দটি আরবি। ‘আশারা’ শব্দমূল থেকে এসেছে।

যার অর্থ দশ। আর আশুরা মানে দশম। আশুরার দিনে পৃথিবীতে অলৌকিত ও রহস্যময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল। এ কারণে মুসলমানদের কাছে ১০ মহররম বিশেষভাবে মর্যাদাপূর্ণ ও মহিমান্বিত।
 

কোরআন কারিমে রয়েছে, ‘আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকেই আল্লাহর নিকট মাসের সংখ্যা বারো, তন্মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত। ’ (সুরা-৯, তাওবা, আয়াত: ৩৬)। হাদিস শরিফে মহররমকে ‘শাহরুল্লাহ’ বা ‘আল্লাহর মাস’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

আশুরায় আমরা মহান আল্লাহপাকে সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করবো। তাই যে কাজগুলো থেকে বিরত থাকা আবশ্যক আসুন সেগুলো একটু জেনে নেই।  

আশুরায় বর্জনীয়:

১. হজরত ইমাম হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুর স্মরণে কাল্পনিক তাযিয়া বা নকল কবর বানানো থেকে বিরত থাকা।
২. তাযিয়া বানিয়ে তা কাঁধে বা যানবাহনে বহন করে মিছিলসহ সড়ক প্রদক্ষিণ করা থেকেও বিরত থাকা।
৩. নকল এসব তাযিয়ার সামনে হাতজোড় করে দাড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করা থেকে বিরত থাকা এবং এসব তাযিয়া বা নকল কবরে নজরানা স্বরূপ অর্থ দান করা থেকেও বিরত থাকা।
৪. নিজেদের দেহে আঘাত বা রক্তাক্ত করা থেকে বিরত থাকা।
৫. শোক বা মাতম করা থেকে বিরত থাকা।

আরও পড়ুন:


আনোয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন আর নেই

ভয়াবহ দাবানল নেভাতে তিনদিন ধরে লড়ছে ইসরাইল

আফগানিস্তানে কাবুল বিমানবন্দরে কাঁদছে শিশু, খোঁজ নেই মা-বাবার

মহররম যে কারণে মুসলিমদের কাছে তাৎপর্যপূর্ণ


৬. যুদ্ধ সরঞ্জামে সজ্জিত হয়ে ঘোড়া নিয়ে প্রদর্শনী করা থেকে বিরত থাকা।

৭. হায় হুসেন, হায় আলি ইত্যাদি বলে বিলাপ, মাতম কিংবা মর্সিয়া ও শোকগাঁথা প্রদর্শনীর সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের বুকে পেটে পিঠে ছুরি মেরে রক্তাক্ত করা থেকেও বিরত থাকা।

৮. ফুল দিয়ে সাজানো এসব নকল তাযিয়া বা কবরের বাদ্যযন্ত্রের তালে প্রদর্শনী থেকে বিরত থাকা।

৯. হজরত ইমাম হুসাইন রাদিয়াল্লাহ আনহুর নামে ছোট বাচ্চাদেরকে ভিক্ষুক বানিয়ে ভিক্ষা করানো। এটা করিয়ে মনে করা যে, ঐ বাচ্চা দীর্ঘায়ু হবে। এটাও মহররম বিষয়ক এ কু-প্রথাও বটে।

১০. আশুরায় শোক প্রকাশের জন্য নির্ধারিত কালো ও সবুজ রঙের বিশেষ পোশাক পরা থেকে বিরত থাকা।

১১. আশুরা বা ১০ মহররমকে কেন্দ্র করে এসব প্রচারণা থেকে বিরত থাকা জরুরি-
> ১০ মহররম পৃথিবী সৃষ্টি করা হয়।
> কেয়ামত সংঘটিত হওয়া।
> হজরত আদম ও হাওয়া আলাইহিস সালামের সৃষ্টি। বেহেশতে প্রবেশ। আরাফাতের ময়দানে একত্রিত হওয়া।
> হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামের আগুন থেকে নাজাত।
> হজরত নুহ আলাইহিস সালামকে মহাপ্লাবন থেকে নিষ্কৃতি ও পাপিষ্ঠ জাতিকে ধ্বংস।
> এই দিনেই অত্যাচারী শাসক নমরূদের ধ্বংস।

news24bd.tv নাজিম

এই রকম আরও টপিক