শিশু সাবিনাকে ধর্ষণের পর হত্যা: শুকুর আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল

শিশু সাবিনাকে ধর্ষণের পর হত্যা: শুকুর আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল

অনলাইন ডেস্ক

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের লালনগরে সাবিনা (১৩) নামের এক শিশু ধর্ষণের পর ও হত্যার অভিযোগে আসামি শুকুর আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে এই মামলার অপর তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৮ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এ রায় দেন। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত বাকি আসামিরা হলেন - নুরুদ্দিন সেন্টু, আজানুর রহমান ও মামুন হোসেন।

তাদের কনডেম সেল থেকে স্বাভাবিক সেলে স্থানান্তর করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও রাগীব রউফ চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২৫ মার্চ রাতে দৌলতপুর উপজেলার লালনগর গ্রামের আব্দুল মালেক ঝনুর মেয়ে সাবিনা (১৩) প্রতিবেশীর বাড়িতে টেলিভিশন দেখে বাড়ি ফেরার পথে আসামিরা তাকে অপহরণ করে।

এরপর লালনগর ধরমগাড়ী মাঠের একটি তামাক ক্ষেতে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ শেষে সাবিনাকে হত্যা করে তারা।

পরদিন সাবিনার বাবা আব্দুল মালেক ঝনু বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন। এ মামলার বিচার শেষে ২০০৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড দেন কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আকবর হোসেন।

আরও পড়ুন:


চন্দ্রিমা উদ্যানে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির বিরুদ্ধে ৩ মামলা

অপেক্ষায় আছি আমাকে কখন খুন করবে: কনিষ্ঠতম আফগান নারী মেয়র

কনডেম সেলে কেমন আছেন সেই মিন্নি?

আফগান সংকট নিয়ে ইমরান খানকে বরিস জনসন ও মেরকেলের ফোন


ওই রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা ছিলেন - কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার লালনগর গ্রামের খয়ের আলীর ছেলে শুকুর আলী, আব্দুল গনির ছেলে কামু ওরফে কামরুল, পিজাব উদ্দিনের ছেলে নুরুদ্দিন সেন্টু, আবু তালেবের ছেলে আজানুর রহমান ও সিরাজুল প্রামাণিকের ছেলে মামুন হোসেন।

পরে নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন। এর মধ্যে কামু ওরফে কামরুল মৃত্যুবরণ করেন।

news24bd.tv এসএম