আফগান ইস্যু যতদিন চলবে এরাও ততদিন লাফাবে!

আফগান ইস্যু যতদিন চলবে এরাও ততদিন লাফাবে!

Other

আফগানিস্তান ইস্যু চলছে, চলবে আরও কিছুদিন। নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে দেখছি, এই সংক্রান্ত নিউজ মানুষ যত পড়েই যাচ্ছে, নিজ দেশের কোনো ইস্যুভিত্তিক নিউজও এত সময় ধরে পড়েছে কি না সন্দেহ!

হ্যাঁ, একটি দেশ যুদ্ধক্ষেত্রে রুপ নিচ্ছে বা আগেও নিয়েছে। আপনি কনসার্ন হতেই পারেন। সেই দেশে মানবাধিকার চর্চা থাকবে কি না, নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হলো কি না এরকম অনেক বিষয় নিয়ে চিন্তায় ঘুম আসছে না! আমি এটা একদমই বলছি না এটা ভাবা অনুচিত।

বরং মানুষ হিসেবে নিজ দেশের গন্ডি পেড়িয়ে অন্য দেশের ভালো-মন্দ ভাবাটা মহৎ গুন। কিন্তু তখনই সেটা মহৎ যখন নিজের পরিবার, সমাজ এবং দেশের উপর আসা যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় তার চেয়ে বেশি কনসার্ন থাকতে দেখা যায়।

আফগানিস্তানের নারীদের অধিকার নিয়ে ভাবছেন? একদল ভাবছেন তারা সঠিক অধিকার পাবে কি না, আরেক দল ভাবছেন ধর্মীয় নানা বিষয়। ধর্মীয় বিষয়ে কিছু বলছি না।

কিন্তু এই দুই দলের অধিকাংশই নিজ দেশের ঘরে বাইরে নারীর মূল্যায়ন করেন না, আর এই সম্পর্কে সঠিকভাবে অবগতও নয় এটা নিশ্চিত। সোশ্যাল মিডিয়ায় কমেন্টের কল্যাণে এদের পরিচয়টা খুব পরিষ্কারভাবেই মেলে।

আফগানিস্তান এখন যাদের নিয়ন্ত্রণে তাদের মুখপাত্র প্রথম সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন ইস্যু সমাধান করার পাশাপাশি নারীদের সুষ্ঠু অধিকার নিশ্চিত করেছেন এবং বৈষম্যহীনভাবে তাদের পাশে রেখে কাজ করতে চেয়েছেন। এতে আফগানদের প্রতিক্রিয়া যা-ই হোক, বাংলাদেশের একদল খুশিতে আত্মহারা আরেকদল ব্যাপক দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বসে আছেন! এই রিয়াকশন তখনই সাজে যখন নিজের দেশের নারীদের মূল্যায়ন করতে জানবেন। আর কেউ কেউ তো মানুষকেই মূল্যায়ন করতে শেখেনি, তাদের নারী বা পুরুষ কিংবা মানবতার কথা বলাই বৃথা!

আফগানিস্তানে নারী সংবাদ উপস্থাপক নেওয়ার খবরে অনেকে বলছেন, এটা করা ঠিক হবে না! কারণ নাকি ধর্মীয় ইস্যু! কী অদ্ভুত! পৃথিবীর কোন দেশে নারীরা কী করলো, কোনটা ঠিক, না বেঠিক তাতে আপনার কী? যেখানে নিজের দেশের ভালো-মন্দ বিচার করার ক্ষমতাই রাখেন না!

আর যারা সত্যিই দেশ বিদেশের তথ্য জানতে আগ্রহী, জ্ঞান অর্জন করতে ভালোবাসেন - I cordially appreciate them.
কারণ জ্ঞানার্জনকারীরা স্বশিক্ষায় গঠনমূলক কথা বলেন। তাদের সেই মূল্যবোধটাও থাকে। তারা দেশের ব্যাপারে যতটা সচেতন ততটা ভাবতে চান ভিন্নদেশ নিয়েও। দেশ পেরিয়ে বিদেশের সব কিছু জানার, মন্তব্য করার অধিকার তাঁরা রাখে।

আরও পড়ুন:


স্ত্রী মিতু হত্যা মামলায় সাবেক এসপি বাবুলের জামিন নামঞ্জুর

তৃণমূল পর্যায়ের মানুষরা যেন একটা উন্নত জীবন পায়: প্রধানমন্ত্রী

শিশু সাবিনাকে ধর্ষণের পর হত্যা: শুকুর আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল

চন্দ্রিমা উদ্যানে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির বিরুদ্ধে ৩ মামলা


কিন্তু নিজ দেশের নারী পুরুষ নির্বিশেষে মানুষকে অবমূল্যায়ন করা কথিত মানুষদের এই আফগানিস্তান নিয়ে মাতামাতির ব্যাপারটা আদার ব্যাপারী জাহাজের খবর নেওয়ার মত মনে হয়। এ  ছাড়া আর কিছু না।

দেশে কতশত ঘটনা চোখের উপর দিয়ে চলে যায়, যাচ্ছে, যাবে। পাঁচ দিনের কাছে সাত দিন হলেই ভুলে যাবেন দিব্যি। না হয় ঘটনার রেশ অটো বন্ধ হয়ে যাবে নাহলে নিজেদেরই আর সেটা টানতে বিরক্ত লাগবে। কিন্তু আফগান ইস্যু যতদিন চলবে এরাও ততদিন লাফাবে! মানবতার বুলি আওরাবে, নাহয় গালাগাল দেবে। কিন্তু আসল কাজের কথা নিয়ে এদের সাথে আলাপ করতে যাবেন, মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকবে। আগে ঘর, পরে না হয় পর নিয়ে ভাবি। টপকাতে গেলে বিপদ!

news24bd.tv এসএম

এই রকম আরও টপিক