বরিশালে অবৈধ ব্যানার-বিলবোর্ড অপসারনকে কেন্দ্র করে রনক্ষেত্র
প্যানেল মেয়র, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ওসিসহ আহত অর্ধ শতাধিক

বরিশালে অবৈধ ব্যানার-বিলবোর্ড অপসারনকে কেন্দ্র করে রনক্ষেত্র

Other

সদর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বর সাটানো অবৈধ ব্যানার-বিলবোর্ড-প্লাকার্ড অপসারনকে কেন্দ্র করেই রনক্ষেত্রে পরিনত হয় বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ এলাকা।

৩ দফা গুলি এবং দফায় দফায় লাঠিচার্জে আহত হয় বিসি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র, প্রশাসকি কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগের পদবীধারী নেতা সহ অর্ধ শতাধিক মানুষ। এ সময় কোতয়ালী মডেল থানার ওসিও গুলিবিদ্ধ হয়। আহত হয় জেলা আনসার কমান্ডার সহ পুলিশের আরও দুই জন সদস্য।

 

এ ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এবং জেলা প্রশাসক। অপরদিকে এই ঘটনাকে উদ্দেশ্যমূলক দাবি করে পুরো উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত দাবি করেছেন বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতারা। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ ঘটনার বিচার চেয়েছেন সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ।  

সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস বলেন, কর্তৃপক্ষের নির্দেশ নগরীর অবৈধ ব্যানার-বিলবোর্ড অপসারণ চলছিল।

রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিসিসি কর্মীরা উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরের বিলবোর্ড অপসারণ করতে গেলে তাদের বাঁধা দেয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এক পর্যায়ে তিনি বিসিসি কর্মীদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন এবং সরকারি কাজে বাঁধা দেন। এ নিয়ে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে আনসার সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়।  

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সদর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরের বাসিন্দা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য হারুন অর রশিদ বলেন, সিটি করপোরেশনের কর্মীদের উপর গুলির খবর পেয়ে মেয়র ঘটনাস্থলে গেলে তাকে সহ নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে ফের গুলি করে আনসার সদস্যরা। এতে তিনি সহ বেশ কয়েকজন আহত হন।  

মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, মানববর্ম করে মেয়রকে গুলির হাত থেকে রক্ষা করে তাকে সেখান থেকে সরিয়ে দেন তারা। এরপর দফায় দফায় গুলি এবং লাঠিচার্জ করে আওয়ামী লীগের অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মীকে আহত করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ ২৩ জনকে শের-ই বাংলা মেডিকেলে সহ অন্যান্যদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  
এছাড়া গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আহত শ্রমিক লীগ কর্মী নাসির আলম সহ পুলিশের দুই সদস্যকে ভর্তি করা হয় জেলা পুলিশ হাসপাতালে। কোতয়ালী থানার ওসি মো. নুরুল ইসলামের গুলি বিদ্ধ হয়েছে। তবে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হননি।  

এদিকে রাত ২টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. সাইফুল হাসান বাদল, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান, রেঞ্জ ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান এবং জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার সহ অন্যান্যরা।  

এ সময় তাদের সামনে প্রথমবারের মতো গণমাধ্যমে বক্তব্য দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমান। তিনি বলেন, রাতে ব্যানার অপসারণে বাঁধা দেয়ায় কিছু লোক তার উপর চড়াও হয়। তাদের হামলার হাত থেকে বাঁচতে গুলি করে আনসার সদস্যরা।   

এ ঘটনা খতিয়ে দেখে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন বরিশালের জেলা প্রশাসক এবং মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার।  

এ ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করার কথা জানিয়েছে পুলিশ। তবে তাদের সংখ্যা জানাতে পারেনি তারা।  

অপরদিকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উপর হামলার ঘটনাকে উদ্দেশ্যেমূলক বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসায় হামলার অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে এ ঘটনায় সাংগঠনিক এবং আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেন তারা।  

আর এ ঘটনায় স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার দাবি করেছেন সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ।  

বর্তমানে সদর উপজেলা পরিষদ এলাকায় মোতায়েন রয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ।  

আরও পড়ুন:


ফজরের ওয়াক্তে ঘুম থেকে জেগে ওঠার আমল ও দোয়া

পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে পালাল ধর্ষণ মামলার দুই আসামি

আফগানিস্তান: পলাতক আশরাফ গনিকে আশ্রয় দিয়েছে আরব আমিরাত

বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে ধর্ষণ মামলায় বাদীর স্বাক্ষ গ্রহণ


NEWS24.TV / কামরুল