অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতির সঙ্গে সচিবরা একমত নয়: মন্ত্রিপরিষদ সচিব

অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতির সঙ্গে সচিবরা একমত নয়: মন্ত্রিপরিষদ সচিব

অনলাইন ডেস্ক

বরিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনে হামলার ঘটনার পর অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের দেয়া বিবৃতির বিষয়ে সচিবসহ প্রশাসনের কর্মকর্তার দ্বিমত পোষণ করেছেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

আজ মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকটি অনুষ্ঠিতহ হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা সচিবালয় থেকে বৈঠকে যুক্ত ছিলেন।

বরিশালের যে ঘটনা ঘটেছে সেই বিষয়ে আপনাদের পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা আছে কিনা- জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এটা তো আমরা ক্লোজলি অবজার্ব করছি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা দেখছি যে একটা মিস কমিউনিকেশন থেকে এগুলো শুরু হয়। সেটাই ইন্সট্রাকশন দিয়ে দেয়া হয়েছে মাঠ পর্যায়ের সবাইকে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকেও বলে দেয়া হয়েছে, ক্যাবিনেট থেকেও বলে দেয়া হয়েছে।

‘অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কিংবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিংবা জনপ্রতিনিধি সবাইকে বলা হয়েছে- আপনারা নিয়মিত ইন্টারঅ্যাকশন (মতবিনিময়) করবেন। ইন্টারঅ্যাকশন যেখানে কম হয়, সেখানেই এই ধরনের মিস কমিউনিকেশনের বিব্রতকর ঘটনাগুলো ঘটে। ’

খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, ‘এগুলো যাতে না ঘটে, সেজন্য তাদের (বরিশালের) বলা হয়েছে আপনারা নিজেরা আগে বসেন। বসে দেখেন কী সমাধান করা যায়। আপনারা সমাধান করতে না পারলে, আইন তো আছেই। আপনারা দেখেন এসব ঘটনা কেন ঘটছে?’

তিনি বলেন, ‘বরিশালের ঘটনা এক্সাক্টলি কী, আমরা জানি না। আমরা আগে তাদেরকেই দায়িত্ব দিয়েছি, নিজেরা বসেন। সব লেভেলেই বলা হয়েছে। কেন সবাইকে একটা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে। কার কোথায় ফল্ট আছে নিজেরা দেখেন। দেখা যাক, তারা সময় নিয়েছেন, নিজেরা আগে দেখি। ’


গত বুধবার (১৮ আগস্ট) রাতে ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে বরিশালে পুলিশ, আনসার ও স্থানীয় ছাত্রলীগ সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে একটি মামলা দায়ের করেন সদর থানার ইউএনও মো. মুনিবুর রহমান। অন্যটি করেন কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরির্দশক (এসআই) শাহজালাল মল্লিক। দুই মামলাতেই প্রধান আসামি করা হয় মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে।

এর মধ্যে মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহকে গ্রেফতারের দাবি জানায় বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিএএসএ)। বৃহস্পতিবার কার্যনির্বাহী পরিষদের এক জরুরি সভা শেষে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবির কথা জানায় তারা।

এদিকে, ২১ আগস্ট সন্ধ্যায় শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় সংবাদ সম্মেলনে ইউএনওর বাসায় হামলার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ একই সঙ্গে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।

গতকাল রবিবার (২২ আগস্ট) রাত সোয়া ৯টায় বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল ইসলাম বাদলের বাসভবনে দুই পক্ষই সমঝোতায় বসেন। বৈঠকে জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার, পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান, বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহসহ সরকারি কর্মকর্তারা ও দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমান সমঝোতা বৈঠকে ছিলেন না।

news24bd.tv নাজিম