বাগেরহাটে বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গাছ পাচারের অভিযোগ

বাগেরহাটে বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গাছ পাচারের অভিযোগ

Other

বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা বন কর্মকর্তা চিন্ময় মধুর বিরুদ্ধে সরকারি গাছ পাচারের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গোপনে গাছ পাচারকালে চিতলমারী উপজেলা চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল সেই গাছ আটক করেন।

সামাজিক বন কর্মকর্তা (রেঞ্জার) চিম্ময় মধু বাগেরহাট জেলার ৯ উপজেলা ও খুলনার ৫ উপজেলাসহ ১৪টি উপজেলার বন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। তবে বন কর্মকর্তা পাচারের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন ওই গাছ তিনি ৩ বছর আগে নিলামে ক্রয় করেছেন।

চিতলমারী উপজেলা চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলা বন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে দুটি ভ্যানযোগে বড় বড় ৮পিস শিশুকাঠের লক উপজেলা মোড়ে একটি স্ মিলে (করাতকল) নেওয়া হচ্ছিল। এ সময় ওই গাছের সম্পর্কে আমি জানতে চাই। তখন ভ্যানের চালক জানান বন কর্মকর্তা চিন্ময় মধু তাদের গাছ নিয়ে করাতকলে রাখতে বলেছেন। তখন আমি লক করা ৮ খণ্ড শিশুকাঠ আটক করে রাস্তার পাশে রাখতে বলি।

বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) খতিয়ে দেখতে বলেছি।

চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. লিটন আলী বলেন, মঙ্গলবার গাছের বিষয়য়ে বন কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে ওই দিন বৈধ কোনো কাগজ দেখাতে পারেননি। বুধাবার দুপুরে দুই বছর আগের টেন্ডারের একটি কপি দেখিয়েছেন।

তবে সেই কাগজটি আসল না নকল সে বিষয়টি যাচাই বাছাই করে দেখা হচ্ছে। তা সঠিক না হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে, বন কর্মকর্তা চিন্ময় মধু পাচারের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিন বছর আগে ওই গাছ আমি টেন্ডারের মাধ্যমে এক ব্যক্তির কাছ থেকে কিনে রেখেছি। ওই গাছ দিয়ে ফার্ণিচার তৈরি করা হবে।

news24bd.tv তৌহিদ

সম্পর্কিত খবর