দুই বছর আট মাস বয়সী শিশুটি তার ভারতীয় মায়ের কাছে থাকবে। তবে তার বাবা সপ্তাহে তিন দিন নিয়ে যেতে পারবেন বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। অন্যদিকে গুলশান থানায় তার মায়ের পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে।
আগামী দুই মাস পর এ বিষয়ে অগ্রগতি জানাতে বলা হয়েছে। আর সেসময়ই এ বিষয়ে শুনানি হবে।যেহেতু ওই শিশুর বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়েছে তাই তার মা থাকবেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে। শিশুটি তার মায়ের কাছেই থাকবে।
রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ। অন্যদিকে বাবার পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মাসুদ রেজা সোবহান। আর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
এর আগে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী শিশুসহ ওই নারীকে আদালতে হাজির করেন গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা । এরপর শিশুর মা ও বাবার বক্তব্য শুনে এই আদেশ দেন আদালত। ভারতীয় ওই নারীকে আদালতে হাজির করতে ৯ আগস্ট নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন:
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে আফগানিস্তানে, খুলছে ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠান
হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বরিশালে মানববন্ধন
পাবজি ও ফ্রি ফায়ারকে বন্ধ করতে নির্দেশনা দিল বিটিআরসি
আফগানিস্তান থেকে দেশে ফিরল ৩৪৫ তুর্কি সেনা
সেদিন শুনানি শেষে অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া বলেন, ভারতের বিয়ে সংক্রান্ত ওয়েবসাইট থেকে হায়দরাবাদের সাদিকা শেখ নামে এক নারীকে পছন্দ করেন বারিধারার এক ধনাঢ্য ব্যবসায়ী পরিবারের সন্তান। মেয়েটিও হায়দরাবাদের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান। ২০১৭ সালে হায়দরাবাদে তাদের বিয়ের পর মালয়েশিয়ায় বসবাস শুরু করেন তারা। কয়েক মাস পর ঢাকায় এসে থকতে শুরু করেন ওই দম্পতি।
news24bd.tv/এমি-জান্নাত