রমজানে ন্যায্যমূল্যে ও নির্ভেজাল পণ্য নিশ্চিত করবেন ম্যাজিস্ট্রেট

রমজানে ন্যায্যমূল্যে ও নির্ভেজাল পণ্য নিশ্চিত করবেন ম্যাজিস্ট্রেট

রমজানে ন্যায্যমূল্যে ও নির্ভেজাল পণ্য নিশ্চিত করবেন ম্যাজিস্ট্রেট

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

রমজানে জনসাধারণ যেন ন্যায্যমূল্যে নির্ভেজাল পণ্য ও ইফতারসামগ্রী কিনতে পারেন সেজন্য মাঠে থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালতসহ বেশ কয়েকটি সংস্থা। মাসজুড়ে চলবে এ অভিযান। কোথাও পুলিশি পোশাকে, কোথাও সাদা পোশাকে চলবে এ নজরদারি।

ঢাকাবাসীকে স্বস্তি দিতে এবার একসঙ্গে কাজ করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিএসটিআই, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, র‌্যাব ও পুলিশ।

৪০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে প্রতিদিন রাজধানীসহ সারাদেশে এ অভিযান পরিচালিত হবে।

র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, রমজানে প্রতিদিনই অভিযান চালাবে র‌্যাব। মূলত অভিযানগুলো হবে ইফতার ও খাবারকেন্দ্রিক। অভিযানের সময় সঙ্গে থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

কেউ যাতে ইফতার সামগ্রীতে কেমিকেল কিংবা রঙ ব্যবহার করতে না পারেন সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে। পাশাপাশি যৌক্তিক মূল্য না নিয়ে অতিরিক্ত মূল্য আদায় করলে আইনানুযায়ী জেল-জরিমানা করা হবে।

প্রতিবারের মতো আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নকে (এপিবিএন) সঙ্গে নিয়ে এবারও অভিযান চালাবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ইফতার তৈরির পরিবেশ, খাবারের পরিমাণ-দাম, ওজনে কারচুপিসহ নানা বিষয়ে নজরদারি করবেন তারা।

অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, রমজানজুড়ে রাজধানীর চকবাজার, বেইলি রোড, ধানমন্ডিসহ ইফতার সামগ্রী বিক্রি করে এমন সব অভিজাত এলাকায় অভিযান চালানো হবে। প্রতিদিন দুটি করে অভিযান চলবে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি করা যাবে না, খাদ্যে ভেজাল দেয়া যাবে না। এজন্য রমজানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর ইফতার সামগ্রী তৈরির বিষয়ে বিক্রেতাদের সতর্ক করা হবে। এছাড়া ভেজালপণ্য বিক্রি, মিথ্যা বিজ্ঞাপন, ওজনে কারচুপি, অতিরিক্ত মূল্য আদায়সহ ভোক্তার অধিকার ক্ষুণ্ন হলেই আইন অনুযায়ী শাস্তি দেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, রমজানে ছোলা, ডাল, তেল, চিনি ও খেঁজুরের চাহিদা বেশি থাকে। এসব পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার মিল ও আড়তে ইতোমধ্যে অভিযান শুরু হয়েছে এবং এটি চলবে।

এদিকে চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে অভিযান শুরু করেছে দেশের একমাত্র মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসটিআই। এছাড়া ঢাকা মহানগরীর বাইরে কেরানীগঞ্জ, সাভার, আশুলিয়া, ধামরাই উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলায় মোবাইল কোর্ট অভিযান চালাবে।

বিএসটিআই জানায়, রমজানে বিশেষ করে রোজাদাররা সচরাচর মুড়ি, খেজুর, কলা, সফট ড্রিংক পাউডার, ফ্রুট জুস, ফ্রুট ড্রিংকস, ভোজ্য তেল, ঘি, নুডলস, লাচ্ছা সেমাই, সেমাই, পানি, ডেক্সট্রোজ মনোহাইড্রেট ইত্যাদি ধরনের খাবার ও পানীয় গ্রহণ করেন। বাজারে এগুলোর মান যাচাই করা হবে।


(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কেআই)

সম্পর্কিত খবর