নৌকা ডুবি: মেহেদির রঙ মুছার আগেই লাশ হলো নববধূ সুমা

নৌকা ডুবি: মেহেদির রঙ মুছার আগেই লাশ হলো নববধূ সুমা

অনলাইন ডেস্ক

গত ২০ আগস্ট শুক্রবার বিজয়নগরের জহিরুলের সঙ্গে দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের শারমিন আক্তার সুমার। হাতের মেহেদির রঙ মুছে যাওয়ার আগেই গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মুছে গেলো সুমার জীবনের রঙ।  

বিয়ের পরের শুক্রবার (২৭ আগস্ট) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লইসকা বিলে শতাধিক যাত্রী নিয়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকার সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা দুটি বালুবোঝাই ভলগেট সুমাসহ ২২ জনের প্রাণ কেড়ে নেয়।

শনিবার সকালে শারমিন আক্তার সুমার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামে চলছে শোকের মাতম।

সুমা ছিলেন ওই গ্রামের মৃত জারু মিয়ার একমাত্র মেয়ে। সুমাদের বাড়িতে ঢোকার আগেই দূর থেকে কানে ভেসে আসে কান্নার শোরগোল। সুমার একমাত্র ভাই ও মায়ের আহাজারিতে এলাকার আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে।

আরও পড়ুন


কক্সবাজার সৈকতে আবারও ভেসে এলো মৃত তিমি

স্প্যানিশ লা লিগায় খেলবেন বাংলাদেশের জিদান

মাটির নিচে সাড়ে ৫ হাজার বছর আগের বাড়ির সন্ধান

আকর্ষনীয় বেতনে অ্যাকশনএইডে চাকরির সুযোগ


কান্নারত অবস্থায় কথা হয় সুমার মামা আশিক মিয়ার সঙ্গে।

তিনি জানান, মাত্র সাত দিন আগে তার ভাগ্নিকে বিজয়নগর উপজেলার ভিটিদাউদপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. জহিরুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয় বাজারে মিষ্টির কারিগর হিসেবে কাজ করতেন জহিরুল। বরযাত্রার পর ফিরতি যাত্রায় শ্বশুরবাড়ি এসে নব বিবাহিত স্বামীকে নিয়ে নৌকায় করে নিজের বাড়ি ফিরছিলেন সুমা। কিন্তু নিজের বাবার বাড়িতে আর যাওয়া হলো না তার ভাগ্নি সুমার।  

সুমার ভাসুর আমির হামজা বলেন, নৌ দুর্ঘটনায় তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী মারা যাওয়ার খবর পেয়ে তারা হতবাক হয়ে পড়েন। ঘটনাস্থলে এসে সুমার নিথর মরদেহ উদ্ধারের দৃশ্য দেখে তাদের এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না যে, সুমা আর নেই।

news24bd.tv এসএম