'আমি গরীব ঘরের সন্তান, আমাকে নিয়ে আর খেলবেন না', শ্যামলের অনুরোধ

'আমি গরীব ঘরের সন্তান, আমাকে নিয়ে আর খেলবেন না', শ্যামলের অনুরোধ

অনলাইন ডেস্ক

'আপনারা সবাই জানেন আমি দরিদ্র একজন ছেলে। আর এই দরিদ্রতার জন্য সবাই আমার ফায়দা লুটতেছে। আপনারা জানেন আমার বাড়ির পরিস্থিতি। আমি গরিব ঘরের সন্তান।

  ইউটিউবার ভাইদের কাছে হাতজোড় করে অনুরোধ করছি, আমাকে নিয়ে আপনারা অনেক খেলেছেন, আর খেলবেন না। আমি আর এই খেলায় থাকতে চাই না। '

ফেসবুক লাইভে এসে এভাবেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে করা ট্রলের বিরুদ্ধে নিজের অসহায়ত্বের কথা বলেন শ্যামল মিত্র। কিছুদিন আগে ফেসবুকে তার এক ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়।

সেখানে তার বলা 'হ্যাভ এ রিলাক্স, সি ইউ নট ফর মাইন্ড' কথাটি ভাইরাল হয়। তাকে নিয়ে শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়ায় নোংরা রসিকতা ও ট্রল।

মূলত আরেক সোশ্যাল মিডিয়া এন্টারটেইনার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের কাছে একটি বিষয়ে মাফ চাইতে এসে এসব কথা বলেন শ্যামল। শ্যামল দাবি করেন, তাকে ব্যবহার করে ইউটিউবাররা ফায়দা নিচ্ছে। তারাই তাঁকে গান গাওয়ানোর মতো কাজ করিয়েছে। এমনকী সোশ্যাল 'হাইপ' তোলার জন্য হিরো আলমের দিন শেষ, শ্যামলের বাংলাদেশ এরকম কথাবার্তা বলানো হয়েছে বলে জানান শ্যামল।

শ্যামল দাবি করেন ভাইরাল হওয়ার পর তাকে অনেক ইউটিউবার নানাভাবে চাপে ফেলে ভিডিওর উপকরণ তৈরি করেছে।

তিনি বলেন, আমাকে নানাভাবে চাপে ফেলে অনেকেই ভিডিও বানিয়েছে। গান গাইয়েছে। আমি কিছু বুঝি নাই। আমার কাছে সবার ফোনের রেকর্ড আছে। হিরো আলম ভাইকে নিয়ে যে ভিডিওতে বলেছি, আমি তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা ওই ভিডিওটি নাকি ডিলিট করবে না। তাছাড়া আমাকে তারা হুমকি দিয়েছে, তুমি যদি কাজ না করো, তাহলে তোমার খারাপ কাজ করবো।

এদিকে ফেসবুক লাইভে শ্যামলের কাছের কয়েকজনও দাবি করেন, শ্যামল সোশ্যাল মিডিয়ার তেমন কিছু বোঝেন না। তাকে নানা কিছু বোঝানো হয়েছে, যা ইচ্ছে তাই বলানো হয়েছে। উনি ফেসবুক বোঝেন না। এমনকী হিরো আলমকেও চেনেন না। হিরো আলম ভাই মামলার হুমকি দেওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে আমরা ভাবি। এরপর শ্যামলদার সঙ্গে আলাপ করি। শ্যামল দা নিজেও এখন এসব নিয়ে বিব্রত।  

আরও পড়ুন:

নিজেকে দলে রেখে সর্বকালের সেরা ওয়ানডে একাদশ সাজালেন সাকিব

তালেবানের পুনরুত্থান: কাশ্মীর নিয়ে শঙ্কায় পড়েছে ভারত!

চুল কেটে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে জায়গা করে নিলেন তরুণী

রোনালদোকে ছাড়া প্রথম ম্যাচেই হারলো জুভেন্টাস


শ্যামলের বাবা নেপাল চন্দ্র মাছ ব্যবসায়ী। মা শেফালি রানি গৃহিণী। তিন ভাইয়ের মধ্যে শ্যামল সবার বড়। ছোট ভাই কমল চন্দ্র ও রাজা চন্দ্র বাবার সঙ্গে মাছের ব্যবসা করেন। শ্যামল চন্দ্র ২০০৫ সালে কাঠগড়া দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে তিনি অকৃতকার্য হন। এরপর অর্থাভাবে আর পরীক্ষা দেওয়া হয়নি।

news24bd.tv/ নকিব