শখের কবুতর পালন করে লাভবান ঠাকুরগাঁওয়ে শিক্ষক আলতাফুর

শখের কবুতর পালন করে লাভবান ঠাকুরগাঁওয়ে শিক্ষক আলতাফুর

Other

একঝাক কবুতরের বাকবাকুম ডাকে মুখরিত পরিবেশ। নানা রং বে-রংয়ের কবুতের উড়ে বেড়াচ্ছে বাড়িতে ও এলাকায়। মনোমুগ্ধকর পরিবেশ দেখতে সারাদিন অনেক মানুষ ভির করছেন। কবুতরগুলো খাওয়া দিলে আবার সবার গায়ে বসে আদর নিচ্ছে।

এমন পরিবেশ দেখতে পাওয়া যায় ঠাকুরগাঁওয়ের শিক্ষক আলতাফুর রহমানের বাসায়। করোনাকালীন অবসরের সময় শিক্ষকতার পাশাপাশি কবুতর লালন পালন করে এলাকায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি। বাড়ির ছাদ আর খোলামেলা পরিবেশে রং বে-রংয়ের বিভিন্ন জাতের কবুতর ভোড় হলেই ডানা মেলে উড়ে বেড়াচ্ছে। দিন দিন পালিত কবুতরের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া এখন সেই কবুতর বিক্রয় করে লাভবান হচ্ছেন শিক্ষক।


 
করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অবসর সময়টাকে কাজে লাগান ঠাকুরগাঁও সদরের সালন্দর মাদ্রাসার শিক্ষক আলতাফুর রহমান। সখের বসে ২০২০ সালের মার্চ মাসে মাত্র ৩০-৩৫টি কবুতর ক্রয় করে বাড়ির ছাদে লালন পালন শুরু করেন। বদ্ধ ঘরে কবুতর লালন পালনে নিজের কাছে অনেকটা অপরাধী মনে হলে ছেড়ে দেন খোলা মেলা পরিবেশে।
   
পরে তার পালিত কবুতরগুলো প্রতিমাসে ডিম থেকে বাচ্চা দিতে শুরু করে। এতে কয়েক মাসেই শতাধিক কবুতর যোগ হয়। শুরুতে পরিবারের পক্ষ থেকে কবুতর পালনে অনিহা প্রকাশ করলেও কবুতরের বংশ বৃদ্ধিতে আগ্রহ বাড়ে সবার। রক্ষনা বেক্ষনে ছাদে পরিধি বাড়িয়ে বাজার থেকে ক্রয় করেন বিভিন্ন জাতের আরো বেশকয়েক জোড়া কবুতর

এখন দিন পার হলেই বাড়ছে কবুতর। বছর পেড়িয়ে তার কবুতরের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাত শতাধিক। পালিত কবুতরগুলোর মধ্যে রয়েছে গিরিবাজ, হোমার, ঘিয়া চন্দন, কালদন, শো কিং, কোকা, মুক্ষিসহ আরো কয়েকটি জাত। বর্তমানে এসব কবুতর ভোড়ের আলো ফোটার আগেই ঘর থেকে বেড়িয়ে আশপাশে বাড়ির ছাদ আর খোলা আকাশে উড়ে বড় হচ্ছে।   

শিক্ষক ও পরিবারের লোকজন সময়মত খাবার দিলেই ছুটে আসে একই ছাদে। ভয়ভীতি ছাড়াই উড়ে গিয়ে কখনো শরিরে, কখনো হাত পেতে দেয়া খাবারে যোগ দেয়। এক ঝাঁক কবুতরের বাকবাকুম শব্দ আর খুনসুটি দেখতে আশপাশের অনেকে হাজির হন শিক্ষকের ছাদে। মনোরম পরিবেশে সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এক জোড়া কবুতর এখন বিক্রি করছেন ৩শ থেকে ৬ শ টাকা পর্যন্ত। কবুতর লালন পালনে বাড়তি আয় যোগ হয়েছে পরিবারে।

স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, ভাল পরিবেশ থাকলে কবুতর লালন পালন করে উদ্যোগতারা অল্প সময়ে লাভবান হতে পারেন। আর এখন তো কোলাহলপূর্ন শহরে পাখিদের তেমন দেখাই পাওয়া যায় না। সেখানে একঝাক কবুতরের এমন বাকবাকুম ডাক আমাদের মনে দোলা দিয়ে যায়।

শিক্ষক আলতাফুর রহমান জানান, কবুতর পালনে যেমন মানসিক প্রাশান্তি রয়েছে, তেমনি অল্প সময়ে অনেক টাকা আয় করা সম্ভব। তবে সময়মত প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের পরামর্শ নিয়ে কবুতর লালন পালন করলে ঝুকি নেই।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ  মামুন অর রশিদ জানান, শিক্ষকতার পাশাপাশি কবুতর পালন করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপশি মাংসের চাহিদা ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ভুমিকায় রাখছেন। প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর থেকে তাকে সব সময় পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। সদরে ২৫-৩০ জন কবুতর লালন পালন করলেও জেলার শীর্ষে রয়েছেন শিক্ষক আলতাফুর রহমান।

আরও পড়ুন:


জরুরি অবতরণ করা বিমানের সেই ক্যাপ্টেন নওশাদ আর নেই

আজ রেইমসের মুখোমুখি পিএসজি, অভিষেকের অপেক্ষায় মেসি

বোনের বৌভাত অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে লাশ হলো ভাই

শবনম ফারিয়াকে বিয়ের প্রস্তাব ভক্তের, যা বললেন অভিনেত্রী


NEWS24.TV / কামরুল