এরাই বাংলার প্রথম যুগের ব্যাংকার

শান্তা আনোয়ার

এরাই বাংলার প্রথম যুগের ব্যাংকার

Other

আদিকালে সারা পৃথিবীতে বিনিময় হতো সোনা-রূপায় কিন্তু পাশাপাশি চলতো কড়ি। তবে আমাদের সমুদ্রে যেই কড়ি পাওয়া যায় সেটা হচ্ছে সিপ্রিয়া টাইগ্রিস। মানে এই কড়ির গায়ে বাঘের মতো ফোঁটা ফোঁটা আছে। এটা দিয়ে কোনোকিছু কেনা যেতো না- যে কড়ি দিয়ে কেনা যেতো সেটা সম্পূর্ণ সাদা ছিল।

এর বৈজ্ঞানিক নাম সিপ্রিয়া মোনেটা।  

এই কড়ি পাওয়া যেত মালদ্বীপে। সেখান থেকেই জাহাজ বোঝাই হয়ে আমাদের কড়ির টাকা আসতো। কড়ির দাম কতো ছিলো! সেটা কী জানেন? কড়ির সাথে মুদ্রার বিনিময় মুল্য কতো ছিলো? সেটা আরেক দারুণ হিসাব।

 

১২৮০টা কড়ি দিলে একটা রুপার মুদ্রার সমান দাম হতো। একটা মুদ্রায় রুপা থাকতো ১০.৪ থেকে ১০.৮ গ্রাম পর্যন্ত।  

পৃথিবীতে সোনার চাইতে রুপার মজুদ কম, তাই অনেকে মনে করেন ভবিষ্যতে সোনার চাইতে রুপার দাম বাড়বে।  

১২৮০ এই সংখ্যাটা এসেছে আমাদের প্রাচীন গণনা পদ্ধতি থেকে। ৪ টায় এক গণ্ডা বা হালি বলি যেটাকে, ২০ গন্ডায় ১ পন আর ১৬ পনে এক টাকা। তাহলে কত হলো  ১৬X২০X ৪= ১২৮০।

আরও পড়ুন:


মুনিবুর বদলি হলেও যতদিন ইচ্ছে কর্মস্থলে থাকবেন: বরিশাল জেলা প্রশাসক

জরুরি অবতরণ করা বিমানের সেই ক্যাপ্টেন নওশাদ ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’

ঢাবিতে ছাত্রদলের মিছিলে ছাত্রলীগের হামলা, আহত ১০


এই ১৬ পন থেকেই এসেছে ষোল আনা। ষোল আনায় এক টাকা।  

কড়ির টাকা সেই সময় আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা সব জায়গাতেই চলতো। কড়িতেই চলতো দাস ব্যবসা, মানে দাস কেনাবেচা হতো। এই কড়ির কেন্দ্র ছিল হল্যান্ড আর লন্ডন।   

বাংলায় কড়ির ব্যবসায়ী বা মহাজন ছিল, তাদের সম্প্রদায়ের নাম ছিল “পোদ্দার”। এরাই বাংলার প্রথম যুগের ব্যাংকার। প্রচুর টাকা নিয়ে নাড়াচাড়া করতো কিন্তু সেই টাকার বা কড়ির মালিক তাঁরা ছিলেন না, মালিক ছিলেন গোত্রপতি বা রাজা বা জমিদারেরা। এখান থেকেই পরের ধনে পোদ্দারি বাগধারাটা এসেছে।

লেখাটি শান্তা আনোয়ার- এর ফেসবুক থেকে নেওয়া (সোশ্যাল মিডিয়া বিভাগের লেখার আইনগত ও অন্যান্য দায় লেখকের নিজস্ব। এই বিভাগের কোনো লেখা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়। )

news24bd.tv নাজিম