সীমান্ত হত্যা যেন থামছেই না । বরং পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় বোঝা যায় কোনো কোনো সময় তা বেড়ে যাচ্ছে। রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমাড়ি সীমান্তে দুই বাংলাদেশির মৃত্যুর ঘটনায় আবারো বিষয়টি আলোচনায়। বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বড় কর্মকর্তাদের আশ্বাসের পরও বাস্তবতা ভিন্ন।
এমনকি সীমান্তরক্ষীদের মারণাস্ত্রের ব্যবহারও কমানো হয়নি।লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বুড়িমারি সীমান্ত। ঘটনাস্থল-সীমান্তের ৮৪২ নম্বর মেইন পিলার। এখান ক্যাম্প আছে ভারতের কোচবিহার ১৪৫ নম্বর বিএসএফ ব্যাটালিয়নের।
এই হত্যাকাণ্ড আবারো সামনে নিয়ে এলো সীমান্ত হত্যা বন্ধের বিষয়ে নানা সময়ে দুদেশের বৈঠক ও চুক্তিকে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০০৯-১০ সালে আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যায় সীমান্ত হত্যা। ২০১১ সালে ফেলানী হত্যার পর সমালোচনা তুঙ্গে ওঠে। এর পর ২০১২ ও ১৩ সালে হত্যার ঘটনা কম হয়।
কিন্তু পরের বছরগুলোতে আবারো বেড়ে যায়। ২০১৮ সালে সীমান্তে মৃত্যু হয় ১৪ বাংলাদেশির। সে বছর ভারত-বাংলাদেশের দ্বীপাক্ষিক চুক্তি হয় সীমান্ত অতিক্রমের ক্ষেত্রে মারণাস্ত্রের ব্যবহার কমানোর বিষয়ে। স্থানীয়রা বলছেন, সীমান্ত হত্যা যেমন কমেনি বরং ২০১৯ ও ২০২০ সালে সেই চুক্তির বিপরীত অবস্থায় মিলেছেন সীমান্তজুড়ে।
news24bd.tv/এমি-জান্নাত