সুদের ফাঁদে দিশেহারা মানুষ :  ব্যারিস্টার সুমন (ভিডিও)

সুদের ফাঁদে দিশেহারা মানুষ : ব্যারিস্টার সুমন (ভিডিও)

অনলাইন ডেস্ক

সুদ বা দাদন কারবারিদের চাপে পড়ে মানুষকে জায়গা-জমি বন্ধক দিতে হয়, বিক্রি করে দিতে হয়। আবার আত্মহত্যাও করছে অনেকে। তা ছাড়া ধর্মীয় দিক থেকেও এটি ঠিক না। আজকের এই মুজিববর্ষে আমাদের অঙ্গীকার হোক দাদন ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করা।

তাহলেই আমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারব বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসুবকে এক ভিডিও'তে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

রোববার (২৯ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ‘দাদনের ফাঁদে মানুষ দিশেহারা, সদিচ্ছা থাকলে ভাঙা যায় এই সিন্ডিকেট’ ক্যাপশন দিয়ে একটি ভিডিও আপলোড করেন।

ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে সরকার অনেক ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করেছে। জঙ্গি দমনে সফলতা অর্জন করেছে; মাদকের বিরুদ্ধে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে।

এবার দরকার দাদনের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা।

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে করা এই ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটা জেলায়, থানায় গ্রামে দেখবেন দাদন ব্যবসার কারণে কৃষক, শ্রমিক বা মাছ ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

ব্যারিস্টার সুমন আরও বলেন, আমার কথা হচ্ছে, বড় বড় জঙ্গি যদি দমন করা যায়, এদের নেটওয়ার্ক যদি ভেঙে দেয়া যায়, তাহলে দাদন কারবারিদের সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়া কোনো বিষয় না। এজন্য ডিসি, ইউএনওরা তালিকা তৈরি করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন। এটা যদি কোনোভাবে ভেঙে দেয়া যায় তাহলে দেখবেন অনেক অনেক মানুষ বেঁচে যাবে।

তিনি জানান, বাংলাদেশে ৮৪টি মাইক্রোক্রেডিটের অথরিটি লাইসেন্স আছে। অথচ ১০ থেকে ২০ হাজার মানুষ সুদের কারবার করছে। বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এটা নিয়ে কোনোভাবে নাড়াচাড়া করে তাহলেই হবে। কারণ বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার চাইলে এই নেটওয়ার্ক ভেঙে দেয়া সম্ভব।

সুমন বলেন, দাদন ব্যবসায়ীদের নেটওয়ার্ক ভাঙতে কাউকে গুলি করতে হবে না। বড় কোনো অভিযান চালাতে হবে না। শুধু কারা কারা এই দাদন কারবারের সঙ্গে জড়িত তাদের তালিকা করলেই হবে। সফলতার মাত্রায় আমরা আরেকটা জিনিস যোগ করতে চাই, শপথ নিতে চাই দাদন কারবার নিয়ন্ত্রণে।

ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন 

news24bd.tv/আলী