বিয়ে মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। এটা একটি জীবনকে অন্য আরেকটি জীবনের সঙ্গে মিলিয়ে দেয়। তাই বিয়ে শব্দটির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে শুদ্ধতাও। ইসলামি শরিয়তে বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার জন্য বেশ কিছু শর্ত হয়েছে। ইসলামি শরিয়ত অনুসারে বিয়ে পড়ানোর সময় সাক্ষী রাখতে হবে। সাক্ষী এমন দুইজন পুরুষ (স্বাধীন) সাক্ষী বা একজন পুরুষ (স্বাধীন) ও দুইজন মহিলা সাক্ষী হতে হবে, যারা প্রস্তাবনা ও কবুল বলার উভয় বক্তব্য উপস্থিত থেকে শুনতে পায়। (আদ-দুররুল মুখতার ৩/৯ ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া ১/২৬৮) সুতরাং বিয়ে যদি বাস্তবেই দুইজন প্রাপ্তবয়স্ক সমঝদার সাক্ষীর সামনে এভাবে হয়ে থাকে, একজন প্রস্তাব দিয়েছেন আর অপরজন তা গ্রহণ করেছেন তাহলে বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে। তবে অভিভাবককে গুরত্ব না দিয়ে পালিয়ে বিয়ে করা একটি মহা অন্যায়। অমানবিক ও অসামাজিক কাজ। সুতরাং আল্লাহ তাআলার নিকট এই গুনাহর জন্য ক্ষমা...
পালিয়ে বিয়ে করার আগে যেসব বিষয় জানা খুবই জরুরি
অনলাইন ডেস্ক

যাদের সঙ্গে কোরবানি দিলে কবুল হবে না
অনলাইন ডেস্ক

কোরবানি আল্লাহর নির্দেশ। সামর্থ্যবানদের ওপর তা আদায় করা ওয়াজিব। যুগে যুগে আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক জাতির জন্য কোরবানি নিয়ম করে দিয়েছেন তেমনি এ জাতির সামর্থ্যবানদের ওপরও কোরবানি আবশ্যক। কিন্তু সবার কোরবানি আল্লাহ তাআলা কবুল করবেন না। কারা তারা? আল্লাহ তাআলা কোরবানির বিধান ও নির্দেশ দিয়েছেন। তা কোরআনুল কারিমের একাধিক আয়াতে এভাবে ওঠে এসেছে- وَ لِکُلِّ اُمَّۃٍ جَعَلۡنَا مَنۡسَکًا لِّیَذۡکُرُوا اسۡمَ اللّٰهِ عَلٰی مَا رَزَقَهُمۡ مِّنۡۢ بَهِیۡمَۃِ الۡاَنۡعَامِ ؕ فَاِلٰـهُکُمۡ اِلٰهٌ وَّاحِدٌ فَلَهٗۤ اَسۡلِمُوۡا ؕ وَ بَشِّرِ الۡمُخۡبِتِیۡنَ প্রত্যেক জাতির জন্য আমি কোরবানির নিয়ম করে দিয়েছি; যাতে তারা আল্লাহর নাম স্মরণ করতে পারে, যে সমস্ত জন্তু তিনি রিজিক হিসেবে দিয়েছেন তার উপর। তোমাদের ইলাহ তো এক ইলাহ; অতএব তাঁরই কাছে আত্মসমর্পণ করো; আর অনুগতদেরকে সুসংবাদ দাও। (সুরা হজ: আয়াত ৩৪) فَصَلِّ لِرَبِّکَ وَ انۡحَرۡ আপনি...
প্রত্যন্ত গ্রামে ইলম ও আমলের বাতিঘর
মুফতি আব্দুল আজিজ

মেঘনা ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় অবস্থিত সুপ্রাচীন জেলা নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানার প্রাচীনতম কওমি মাদরাসার একটি জামিয়া রহমানিয়া মাদরাসা। ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব গঠন ও দ্বীনি শিক্ষার প্রচার-প্রসারে ঈর্ষণীয় অবদান রেখে চলেছে এই প্রতিষ্ঠান। তাই প্রত্যন্ত গ্রামে অঞ্চলে এর অবস্থান হলেও বৃহত্তম নোয়াখালীর হাজারো আলেম এই মাদরাসা থেকে কোরআন-হাদিসের পাঠ গ্রহণ করেছেন। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানের বহু কৃতী সন্তান কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডসহ ধর্মীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। জামিয়া রহমানিয়া মাদরাসার প্রতিষ্ঠাকালীন প্রেক্ষাপট ১৪০৮ হিজরী, মোতাবেক ১৯৮৯ সালে এই প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়। নির্ভরযোগ্য এই ইসলামী বিধ্যাপীঠটি প্রতিষ্ঠা করেন নোয়াখালীর বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মাওলানা তাজুল ইসলাম। আজ অবধি তিনিই এই মাদরাসার পরিচালকের দায়িত্বে...
হজযাত্রায় মক্কার ঐতিহাসিক স্থানসমূহ
জাওয়াদ তাহের

হজ ও ওমরাহর সফরে সবাই মক্কায় কাবাগৃহ, হাজরে আসওয়াদ ও সাফ-মারওয়া ছাড়াও আরো নির্ধারিত কিছু জায়গায় জিয়ারতে করে থাকে। যেগুলোর সঙ্গে ইসলামের ইতিহাস, নবীজি (সা.)-এর জীবনের বিশেষ সম্পর্ক আছে। এই স্থানগুলো মক্কা ও তার আশেপাশের এলাকায় অবস্থিত এবং ইসলামের ইতিহাস ও হজের আনুষ্ঠানিকতার সাথে গভীরভাবে জড়িত। নিচে প্রতিটি স্থানের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা ও তাৎপর্য দেওয়া হলো ১. আরাফা ময়দান অবস্থান : মক্কা থেকে প্রায় ২০ কিমি পূর্বে। তাৎপর্য : হজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ উকুফে আরাফা এখানে পালিত হয়। ৯ জিলহজ দিনে হাজিরা এখানে দাঁড়িয়ে দোয়া ও ইস্তিগফার করেন। আব্দুর রহমান ইবনে ইয়ামুর (রা.) থেকে বর্ণিত যে, নজদবাসী কতিপয় লোক রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এল তখন তিনি আরাফায় ছিলিন। তার হজ সম্পর্কে তাঁকে জিজ্ঞেস করে। তিনি তখন এক ঘোষণাকারীকে এই মর্মে ঘোষণা দিতে নির্দেশ দিলেন যে হজ হলো...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর