শেরপুরে দাফনের ৮১ দিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে আবু সাঈদ (৩০) নামে এক যুবকের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। ১ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিজানুর রহমানের উপস্থিতিতে ওই লাশ উত্তোলন করা হয়। সাঈদ সদর উপজেলার গাজীরখামার ইউনিয়নের শালচূড়া গ্রামের নূর হোসেনের ছেলে।
পরিবারের অভিযোগ, মেধাবী ছাত্র আবু সাঈদ শহরের একটি বেসরকারি স্কুলে শিক্ষকতার পাশাপাশি বিসিএসের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
তার সাথে প্রতিবেশী শারমিন সুলতানা ডেইজি নামে এক মেডিকেল শিক্ষার্থীর প্রেম ছিল। কিন্তু ডেইজির পরিবার তাদের সম্পর্ককে মেনে নেয়নি। এরই জের ধরে গত ১১ জুন আবু সাঈদকে তার বন্ধুদের মাধ্যমে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয় এবং ঘটনাটিকে সড়ক দুর্ঘটনা বলে পরিবারকে জানানো হয়। দুর্ঘটনার পর তারা সাঈদকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি না করে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।এ ঘটনায় মো. আতিক মিয়া (৩০), মো. জাকির (২৮), তরিকুল ইসলাম (৩০), ডা. সোয়েব (২৭), শারমিন সুলতানা ডেইজি (২৫), মোছা. জুলি (৩২) ও মো. আলীম মিয়া (৪০)সহ ৭ জনকে স্বনামে ও অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে আসামি করে গত ২৭ জুন আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন নিহত আবু সাঈদের ছোটবোন তানজিনা আক্তার নয়ন। মামলাটি ২২ আগস্ট সদর থানায় এফআইআরভূক্ত হয়। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রুবেল মিয়ার আবেদনের প্রেক্ষিতে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের আদেশ দেয় আদালত। এছাড়া গত মঙ্গলবার সকালে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে আবু সাঈদের হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানায় তার পরিবার।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রুবেল মিয়া জানান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নিহত সাঈদের পরিবারের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। এখন ময়নাতদন্ত ও ফরেনসিক রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে এবং সে অনুযায়ী পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিজানুর রহমান জানান, আদালতের নির্দেশে কবর থেকে আবু সাঈদের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। এরপর লাশের ময়নাতদন্ত ও ফরেনসিক রিপোর্টের ভিত্তিতে তদন্ত কর্তৃপক্ষ পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন।
news24bd.tv তৌহিদ