আবারো আসছে নিম্নমানের বিটুমিন, পরীক্ষা ছাড়া ছাড় নয়

Other

চট্টগ্রাম বন্দরে আবারো এলো, ইরানি পতাকাবাহী জাহাজে নিম্নমানের বিটুমিন। পরিচয় গোপন করে, ইরান থেকে আনা বিটুমিন, আরব আমিরাতের লেভেলে ঢুকছে বাংলাদেশে। এই বাস্তবতায়, চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ কর্তৃপক্ষ বলছে, মান যাচাই ছাড়া কোনো বিটুমিন খালাস হবে না। মানহীন হলে যেই প্রতিষ্ঠানেরই হোক জব্দ হবে পণ্য।

 

এদিকে, মান যাচাই কর্তৃপক্ষ ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড জানায়, আমদানি করা বিটুমিন, মান যাচাইয়ের জন্য নিয়মিত তাদের কাছে যাচ্ছে না। বিশেষজ্ঞ ও এখাতের ব্যবসায়ীরা বলছেন, মানহীন বিটুমিন আমদানি বন্ধ না হলে, বাংলাদেশের সড়ক নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধই থাকবে।

২০২১ সালের জুনে, বিটুমিনের মান যাচাইয়ের সনদ জালিয়াতি করে চট্টগ্রাম কাস্টমস এর হাতে ধরা পড়ে, ন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড। ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের মান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পেরে, তারা তৈরি করে জাল সনদ।

পরে সনদ জালিয়াতি প্রমাণিত হওয়ায় জব্দ করা হয় বিটুমিনের  চালান।   এই ঘটনায় নিষিদ্ধ দেশ থেকে কারসাজির মাধ্যমে সংযুক্ত আবর আমিরাতের লেভেল লাগিয়ে, মানহীন বিটুমিন আমদানির বিষয়টি আবারো প্রমাণিত হয়।

এই ঘটনার মাত্র ৩ মাসের মাথায়, আবারো চট্টগ্রাম বন্দরে এলো আমদানি করা বিটুমিন। ডাবলিও এল বি ও নিগার নামের দুটি জাহাজে যথাক্রমে ৫ হাজার টন ও ২০০ কনটেইনার বিটুমিন আসে। স্থানীয় সূত্র বলছে, মেসার্স ইলিয়াস ব্রাদার্স ও পিএইচপি এই বিটুমিনের আমদানিকারক।

এই বাস্তবতায় চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলছে, মানযাচাই ছাড়া কোনো বিটুমিন খালাস হবে না।

তবে, ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড বলছে, তাদের ল্যাবে পরীক্ষা করা ৫০ শতাংশ স্যাম্পল মান সম্পন্ন নয়।

কাস্টমস জানায়, মানহীনতার অভিযোগে ৩ মাস আগে আমদানি করা বিটুমিনগুলো এখনো বন্দর কর্তৃপক্ষের জিম্মায় আছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদেশ থেকে আনা মানহীন বিটুমিনে তৈরি রাস্তাগুলো ৬মাসেই বেহাল হয়ে যায়। এতে একদিকে যেমন বাড়ে জনভোগান্তি অন্যদিকে রাষ্ট্রের বিপুল অর্থের অপচয় হয়।

news24bd.tv/আলী