শেরপুরে ৬ কেজি ওজনের শিশুর জন্ম

শেরপুরে ৬ কেজি ওজনের শিশুর জন্ম

Other

শেরপুরে ৬ কেজি ২শ গ্রাম ওজনের এক কন্যা শিশুর জন্ম দিয়েছেন মোছা. শেফালী বেগম (২৮) নামে এক নারী।  

বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫ টার দিকে শহরের জেনি জেনারেল প্রাইভেট হাসপাতালে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ওই শিশুর জন্ম হয়। শেফালী শ্রীবরদী উপজেলার দহেরপাড় এলাকার সজল মিয়ার স্ত্রী।  

সদ্যপ্রসূত শিশুটির নাম রাখা হয়নি এখনও।

শেফালী গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানার কর্মী, আর সজল গাজীপুরে অটোভ্যানচালক হিসেবে কাজ করেন।

জেনি জেনারেল প্রাইভেট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জায়েদুর রশীদ শ্যামল জানান, বুধবার বিকেল ৩টার দিকে শেফালী তার হাসপাতালের ২০৩ নম্বর কক্ষে ভর্তি হন। পরে ৫টা ১০ মিনিটে সিনিয়র গাইনি বিশেষজ্ঞ মো. লুৎফর রহমান সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে একটি কন্যা সন্তান ভুমিষ্ঠ করান।  

পরে শিশুটির ওজন মেপে ৬ কেজি ২শ গ্রাম ওজন পাওয়া যায়।

অস্বাভাবিক ওজনের শিশুর জন্মের খবর পেয়ে নার্স, চিকিৎসক হাসপাতালে ভিড় করেন। স্বাভাবিকের চেয়ে এত বেশি ওজনের শিশুর জন্ম বিরল ঘটনা।  

ওই শিশুটির বাবা মো. সজল মিয়া মুঠোফোনে বলেন, তিনি গাজীপুর থেকে বাসে শেরপুরে আসছেন। এটি তাদের তৃতীয় সন্তান। আমাদের আগের দুইটি ছেলে সন্তান স্বাভাবিকভাবেই জন্ম হয়েছে। ওই শিশুদের স্বাস্থ্যও অনেক ভালো ছিল। তবে এই মেয়ে বাচ্চাটা আরও বড় হয়েছে। নিরাপদে মেয়ে সন্তানটি ভূমিষ্ঠ হওয়ায় খুব খুশি বলেও জানান তিনি।  

শিশুটির মামা মো. সঞ্জু মিয়া বলেন, তাঁর বোন ও ভাগনি বর্তমানে দুজনেই সুস্থ আছে। তাদের জন্য সবার দোয়া কামনা করেন তিনি।

অস্ত্রোপচারের অ্যানেস্থেসিয়া চিকিৎসক ডা. মো. জসিম উদ্দিন বলেন, এর আগে তিনি কখনও এতো ওজনের নবজাতক দেখেননি। শিশুটির ওজন হয়েছে ৬ কেজি ২শ গ্রাম। একটি নবজাতকের স্বাভাবিক ওজন হয়ে থাকে আড়াই কেজি থেকে চার কেজি পর্যন্ত। কিন্তু এই শিশুটির ওজন ৬ কেজি ২০০ গ্রাম। এটি প্রায় বিরল। গর্ভবতী অবস্থায় ওই নারী পর্যাপ্ত সুষম খাবার খেয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।  

গাইনি বিশেষজ্ঞ মো. লুৎফর রহমান বলেন, নবজাতক শিশুটি সুস্থ আছে। তবে তার মায়ের অবস্থা এখনো ঝুঁকিপূর্ণ। প্রসূতিকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে ও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

জেলা সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগের জুনিয়র কনসালট্যান্ট কোহিনুর জাহান শ্যামলী বলেন, একটি নবজাতকের স্বাভাবিক ওজন হয়ে থাকে আড়াই কেজি থেকে চার কেজি পর্যন্ত। কিন্তু এই শিশুটির ওজন ৬ কেজি ২০০ গ্রাম। এটি প্রায় বিরল।  

তিনি বলেন, সাধারণত গর্ভবতী মায়ের ডায়াবেটিস থাকলে অথবা বাবা-মার ওজন বেশি থাকলে অধিক ওজনের শিশুর জন্ম হতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে প্রসূতি ও নবজাতকের প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে শিশুটির অধিক ওজন হওয়ার কারণ নির্ণয় করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।  

আরও পড়ুন


বিয়ে করেছেন অপূর্ব'র সাবেক স্ত্রী অদিতিও

মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ‘দাদা ভাই’য়ের লেখা হিসাবের খাতা প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর

সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের সংসদ সদস্য হাসিবুর রহমান স্বপন আর নেই

দেশে পৌঁছেছে ক্যাপ্টেন নওশাদের মরদেহ


NEWS24.TV / কামরুল