রাজধানীতে তিন এলাকা থেকে ৫ অস্ত্র চোরাকারবারী গ্রেফতার

রাজধানীতে তিন এলাকা থেকে ৫ অস্ত্র চোরাকারবারী গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্ক

রাজধানীর মিরপুর, দারুসসালাম ও গাবতলী এলাকায় একাধিক অভিযান চালিয়ে ৫ অস্ত্র চোরাকারবারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গুলশান বিভাগ।

এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি প্রাইভেটকার, আটটি বিদেশি পিস্তল, ১৬টি ম্যাগজিন ও ৮টি গুলি উদ্ধার করা হয়। তারা হলেন- আকুল হোসেন, ইলিয়াস হোসেন, আব্দুল আজিম, ফারুক হোসেন এবং ফজলুর রহমান।

তারা যশোরের বেনাপোল এবং শার্শা থানা এলাকার বাসিন্দা।

গত সাত বছরে এ একটি চক্রের মাধ্যমে আনা অন্তত ২০০ টি অস্ত্র ব্যবহৃত হচ্ছিলো সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজিতে। সীমান্ত এলাকা হয়ে চোরাচালানের মাধ্যমে ভারত থেকে প্রতিটি আগ্নেয়াস্ত্র আনা হতো ৫০ হাজার টাকায়। এরপর সেসব অস্ত্র দেশে বিক্রি করা হতো ৮০-৯০ হাজারে।

বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার একে এম হাফিজ আক্তার।

তিনি বলেন, সম্প্রতি ডিবির গুলশান বিভাগ বিভিন্ন অপরাধীদের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি অবৈধ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে। এ উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা মামলাগুলো তদন্তকালে জানা যায়, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবসায়ীর একটি গ্রুপ দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা যশোর জেলার বেনাপোল থেকে অস্ত্র ও গুলি সংগ্রহ করে তা সারা দেশে অপরাধীদের কাছে সরবরাহ করছে।

বিষয়টি তদন্তের ধারাবাহিকতায় বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে আন্তর্জাতিক অস্ত্র বেচা-কেনা দলের পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা অস্ত্র ও গুলি নিয়ে অপরাধীদের কাছে বিক্রির উদ্দেশ্যে প্রাইভেটকার যোগে গাবতলী বাসস্ট্যান্ড হয়ে ঢাকায় আসে।

গ্রেফতারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে ডিবি প্রধান বলেন, চক্রটির মূলহোতা আকুল নিজে বা তার বিশ্বস্ত লোকজনের মাধ্যমে বেনাপোল সীমান্ত এলাকা থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করে যশোর, খুলনা, বাগেরহাট, ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় অস্ত্র সরবরাহ করে। চক্রটির মূলহোতা আকুল ২০১৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক অস্ত্র নিজে বিক্রি করেছে বলে জানিয়েছে।

আরও পড়ুন:

যে দুইটি দোয়ায় মৃত্যু যন্ত্রণা হালকা হয়

টি-টোয়েন্টি র‌্যাংকিংয়ে অনেক এগিয়েছে বাংলাদেশ

দেশে আসল ফাইজারের আরও ১০ লাখ টিকা

এবার আফগান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে যা বললেন পুতিন


তিনি আরও বলেন, অস্ত্র চোরাচালানসহ চক্রের সদস্যরা তক্ষক প্রতারণা, সীমান্ত পিলার, সাপের বিষ, গোল্ড চোরাচালান, প্রত্নতাত্ত্বিক মূর্তি, ইয়াবা, আইস মাদক ব্যবসা করতো।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা ৫০ হাজার টাকায় কেনা অস্ত্র বাংলাদেশে বিক্রি করতো ৮০-৯০ হাজার টাকায়। এসব অস্ত্র ভারত থেকে সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশে আনা হতো। আর এসব অস্ত্র চাঁদাবাজিসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত হতো।

সূত্র: বাংলানিউজ

news24bd.tv/ নকিব