গত ২৫ সেপ্টেম্বর নববধূকে নিয়ে ঘুরতে টিক্কা হাওরে আনন্দ বিলাস করতে যায় স্বামী। হাওরের মধ্যখানে যাওয়া মাত্রই মুছা মিয়ার নেতৃত্বে ৮ যুবক তাদের নৌকায় উঠে দেশিয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নির্জন স্থানে নিয়ে স্বামীকে বেধে তার স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করে। ভিডিওধারণের পর হুমকি দিয়ে বলা হয় যদি বিষয়টি কাউকে জানানো হয় কিংবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হয় তাহলে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়া হবে।
হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার টিক্কা হাওরে নববধূকে নিয়ে ঘুরতে গিয়ে স্বামীকে বেধে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের সেই ঘটনায় আটক ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (০৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান উদ্দিন প্রধান এর আদালতে তাদের হাজির করলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।
এরা হলেন, উপজেলার মুড়াকরি গ্রামের ইকবাল হোসেন মিয়ার ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা সোলায়মান হোসেন রনি (২২), একই গ্রামের রুকু মিয়ার ছেলে শুভ মিয়া (১৯), ইব্রাহীম মিয়ার ছেলে মিঠু মিয়া (২৩)।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনার পর স্বামী-স্ত্রী তাদের হুমকিতে লোকলজ্জার ভয়ে তিনি এতদিন বিষয়টি গোপন রাখেন।
আরও পড়ুন
মাওলানা মামুনুল হককে খুলনা কারাগারে স্থানান্তর
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ভোগান্তি থাকবে না: ওবায়দুল কাদের
শুধু আলোচনার জন্য আলোচনায় বসবে না ইরান
পরকীয়া, তৃতীয় বিয়ে ও সাবেক স্ত্রীকে নিয়ে যা বললেন অপূর্ব
ঘটনার পর ধর্ষণের ধারণ করা ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তার নিকট ৯ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন আসামিরা। অবশেষে তিনি নিরুপায় হয়ে বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ মামলা দায়ের করেন।
লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম জানিয়েছেন, আটক ৩ জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে রণি ও মিঠুর ৫ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।
news24bd.tv/আলী
