নামটুকো বাদ দিলে একজন লেখকের আর কী থাকে?

নামটুকো বাদ দিলে একজন লেখকের আর কী থাকে?

Other

বিশ্বসাহিত্য ভাষণ কেন আনপাবলিশড করে দিয়েছি এ নিয়ে কিছু প্রশ্ন এসেছে।  

ফেসবুকের দুইজন পরিচিত মুখ, আমার এ ভাষণের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ চুরি করেছেন (দস্তায়েভস্কি এবং তলস্তয় খণ্ড থেকে)। স্বনামে তারা আমার ফ্রেন্ডলিস্টে নেই, এমন কি ফলোয়ার লিস্টেও নেই। ফেইক আইডি দিয়ে আছেন কি না জানি না।

তাদের চুরি করার কৌশল ও ক্ষমতা আমাকে বিস্মিত করেছে। এ লেখা কেটেকুটে, তাদের একজন, এক প্রকাশককে ছাপাতেও দিয়েছে! 

মজার ব্যাপার হলো— চুরির ব্যাপারটি ধরা পড়ে প্রুফ রিডারের কাছে। প্রুফ রিডার না কি প্রুফ দেখতে গিয়ে বুঝতে পারেন, এ লেখার কিছু কথা কোথায় যেন তিনি পড়েছেন! 

আরও পড়ুন:


পর্ন ভিডিও বানানোর সেই কাহিনী জানালেন পরী

৪ রানে জয় পেল বাংলাদেশ

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগে মেয়র তাপসের কুশপুত্তলিকা দাহ

 নাটোরে সড়কে গেল মুক্তিযোদ্ধার প্রাণ

গয়েশ্বর বললেন, আওয়ামী লীগ ফুল স্টপ হয়ে যাবে


এর আগে বহুবার স্ক্রিনশট দিয়ে লেখাচোর সামলিয়েছি। কিন্তু এসব পাহারা দেওয়া কি একজন লেখকের কাজ? সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য মানুষ এতো কাঙাল কেন?

রাতের পর রাত না ঘুমিয়ে, না খেয়ে, সমাজ-সংসার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আপনি লিখবেন, আর সে লেখা একজন চোর অনায়াসে ফেসবুকে থেকে নিয়ে নিজের নামে চালিয়ে দেবে, এটা কল্পনা করা যায়?

নামটুকো বাদ দিলে একজন লেখকের আর কী থাকে?

(সোশ্যাল মিডিয়া বিভাগের লেখার আইনগত ও অন্যান্য দায় লেখকের নিজস্ব।

এই বিভাগের কোনো লেখা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়। )

news24bd.tv তৌহিদ

সম্পর্কিত খবর