ক্যাম্পাস থেকে রিক্সায় গুলিস্তান আসছিলাম, কর্মস্থলে ফিরতে হবে, তাই তাড়া ছিলো। জিপিও থেকে সামনে বাইতুল মোকাররম বরাবর আসতেই কেউ একজন রিক্সার পাশে টাকা চেয়ে দৌড়াচ্ছে।
ভাবলাম ভিক্ষুক। তাকাতেই দেখি একটা উষ্কখুষ্ক চেহারার লোক, পলিথিনভর্তি মলমূত্র হাতে নিয়ে দৌড়াচ্ছে আর টাকা চাচ্ছে।
প্রথমে বলে, ৫০ টাকা দে, আমি দ্রুত দিয়ে দিলাম। পরে বলে আরো ৫০ টাকা দে, তাও দিলাম।
পরে বলে আরো ১০০ টাকা দে, নইলে এই পলিথিন গায়ে মারবো। আরো ১০০ দিলাম।
পরে বলে, আরো ১০০ লাগবো, বাধ্য হয়ে আরো ১০০ টাকা দিলাম।
আরও পড়ুন:
সপ্তাহে কতদিন ক্লাসের পরিকল্পনা সরকারের, জানালেন শিক্ষা উপমন্ত্রী
পাসপোর্ট অফিসে দালালদের নিয়ন্ত্রণে সিসি ক্যামেরা
১০ হাজার 'ভুয়া' মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল
নভেম্বর-ডিসেম্বরে এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে নন অনেকেই
রিক্সাওয়ালার মামার জন্য কষ্ট লাগলো, গর্বও হলো। উনি এত কষ্ট করে উপার্জন করলেন ৭০ টাকা, আর নেশাখোর এক মিনিটেই একপ্রকার ছিনতাই করলো ৩০০ টাকা।
এই যে ঢাকার রাস্তাঘাটে, ক্যাম্পাসে এত এত ভাসমান মানুষ! এদের অধিকাংশই নেশাগ্রস্ত, ছিনতাই, মাদক ব্যবসা, পতিতাবৃত্তিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত।
এদের হাত থেকে কি নিস্তার নেই??
লেখাটি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তা ওয়ালি উল্লাহর ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া।
(সোশ্যাল মিডিয়া বিভাগের লেখার আইনগত ও অন্যান্য দায় লেখকের নিজস্ব। এই বিভাগের কোনো লেখা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়। )
news24bd.tv নাজিম