দেশের অর্ধেক ইন্টারনেট টিকটক, লাইকি আর পর্নোগ্রাফিতেই শেষ!

দেশের অর্ধেক ইন্টারনেট টিকটক, লাইকি আর পর্নোগ্রাফিতেই শেষ!

অনলাইন ডেস্ক

আধুনিক জীবনে ইন্টারনেটের গুরুত্ব বলে শেষ করা যাবে না। ইন্টারনেটের কারণেই বহির্বিশ্বের সাথে সহজেই যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হচ্ছে। পাশাপাশি জীবনমান হচ্ছে উন্নত। অনেক অজানাকে খুব সহজেই জানা যাচ্ছে এর মাধ্যমে।

দেশে ইন্টারনেট গ্রাহক বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর ব্যবহারও বাড়ছে। কিন্তু সব ইন্টারনেট উৎপাদনশীল কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে না।   

ইন্টারনেট সেবাদাতা সংস্থর তথ্য অনুযায়ী, পর্নোগ্রাফি, টিকটক, ফ্রি-ফায়ার কিংবা পাবজির পেছনে চলে যাচ্ছে দেশের অর্ধেক ইন্টারনেট।
   
জাতীয় প্রেসক্লাবে নিরাপদ ইন্টারনেট বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে এমন উদ্বেগজনক তথ্য জানিয়েছেন ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবি সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক।

শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠানে তিনি জানান, বর্তমানে দেশে ব্যবহৃত ২৬শ' জিবিপিএস ব্যান্ডউইথের অর্ধেকই ব্যয় হচ্ছে ভার্চ্যুয়াল গেম, টিকটক, লাইকি ও পর্নোগ্রাফি দেখার পেছনে।

তিনি বলেন, শতকরা ৫০ শতাংশ ইন্টারনেটই ব্যবহার হচ্ছে পর্নো, গেমিং বুলিংয়ে।

ফ্রি-ফায়ার-পাবজির পর, টিকটক-লাইকির মতো অ্যাপ বন্ধের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি। এছাড়া নিরাপদ ইন্টারনেটের জন্য আইন করার কথাও ভাবা হচ্ছে।   

আরও পড়ুন:


আইএসকে পৃষ্ঠপোষকতার দায়ে আমেরিকাকে জবাবদিহী করতে হবে: ইরান

৭ মিনিটেই স্থগিত! পূর্ণ তিন পয়েন্ট পেতে চলেছে আর্জেন্টিনা

কয়েকশ মার্কিন নাগরিক আটকা পড়ে আছে আফগানিস্তানে


ফ্রি-ফায়ার ও পাবজির মতো অনলাইন গেইম কিশোর-তরুণদের আগ্রাসী করতে তুলছে বলে নানা মহল থেকে অভিযোগ ওঠার পর সেগুলো বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া ২০ হাজারের বেশি পর্নো সাইট আগে থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।   

জানা গেছে, বর্তমানে দেশে স্মার্টফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১১ কোটি ৩৬ লাখ। আর ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন এক কোটি গ্রাহক।

news24bd.tv রিমু