সেদিন আমার খুব তাড়া, দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে হবে। রিকশা চালককে বললাম একটু জোরে চালান না, তাড়াতাড়ি যেতে হবে।
রিকশা চালক বললো, বাবারে শরীরে কুলায় না। এর চেয়ে জোরেতো পারুম না।
কথাটা শোনার পর রিকশাওয়ালার দিকে ভালো করে তাকালাম। দেখলাম আসলেই বেচারার শরীরের অবস্থা খুব খারাপ। পরে, আর কিছু বললাম না। চুপ করে বসে রইলাম।
রিকশা থেকে নামার পর ভাড়া দিতে গিয়ে কিছু টাকা বেশি দিলাম। বললাম আপনি ভালো কিছু কিনে খেয়েন। কিন্তু বৃদ্ধ লোকটা বাড়তি টাকাটা নিলো না।
বললো বাবারে দয়ার টাকায় যদি চলতে চাইতাম তাইলেতো ভিক্ষা করতাম, চাইয়া খাইতাম। কাম করতাম না। এটা বলেই রিকশা নিয়ে সে চলে গেলো।
কথাটা অনেকক্ষণ কানে বাজছিলো।
সত্যিই তো, যার আত্মমর্যাদা আছে সে কখনো দয়া বা ভিক্ষা নেয় না। সময়ের সঙ্গে লড়ে যায়। হয়তো সে সুখের মুখ দেখে, হয়তো দেখে না। কিন্তু আয়নার সামনে সে যখন দাঁড়ায় তখন তার যত্নের আত্মমর্যাদা, সাহসের সুতায় শক্ত করে গিঁট বেঁধে রাখা আত্মমর্যাদা তাকে স্বস্তি দেয়। যা কোনো কিছু দিয়েই কেনা যায় না।
সেই স্বস্তির হিমেল পরশ তাকে আবারো লড়াইটা চালিয়ে যেতে জ্বালানি হিসেবে কাজ করে।
আরও পড়ুন:
আইএসকে পৃষ্ঠপোষকতার দায়ে আমেরিকাকে জবাবদিহী করতে হবে: ইরান
৭ মিনিটেই স্থগিত! পূর্ণ তিন পয়েন্ট পেতে চলেছে আর্জেন্টিনা
তিন দিন আগেই আমাদের বিদায় করে দিতে পারতো: মেসি
দেশের অর্ধেক ইন্টারনেট টিকটক, লাইকি আর পর্নোগ্রাফিতেই শেষ!
লেখাটি সাংবাদিক নাজিম খানের- এর ফেসবুক থেকে নেওয়া।
news24bd.tv/ নকিব