বিতর্কিত ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালিতে কোনও বিনিয়োগ করবে না দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্প গ্রুপ যমুনা গ্রুপ।
সোমবার সকালে যমুনা গ্রুপের পরিচালক (মার্কেটিং, সেলস অ্যান্ড অপারেশন্স) ড. মোহাম্মদ আলমগীর আলম তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেয়া এক ‘জরুরি গণবিজ্ঞপ্তি’র মাধ্যমে ইভ্যালিতে বিনিয়োগ করা থেকে সরে আসার ঘোষণা দেন।
ওই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘যমুনা গ্রুপ ব্যবসা পরিচালনায় উৎপাদনমুখী ও গঠনমূলক ব্যবসায়িক নীতিকেই গুরুত্ব দেয়, যা দেশের শিল্প অবকাঠামোগত ব্যাপকভিত্তিক উন্নয়নের পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদে লাখ লাখ মানুষের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ও জীবন-জীবিকার সংস্থানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে আসছে। ’
তিনি বলেন, ‘সুচিন্তিত পরিকল্পনায় সুদূরপ্রসারী ব্যবসায়িক সমৃদ্ধির নিশ্চয়তা ছাড়া এবং কোনো চূড়ান্ত বিনিয়োগের আগে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা এবং পুনঃপর্যালোচনা ছাড়া কোনো ব্যবসায়িক খাতে শত শত কোটি টাকা বিনিয়োগ করার অবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যমুনা গ্রুপ দীর্ঘ সময়ের কষ্টার্জিত অর্থ, সুনাম, মেধা ও সক্ষমতাকে ঝুঁকিতে ফেলতে রাজি নয়।
অন্য কোনো কোম্পানিতে যমুনা গ্রুপের অর্থ বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত, এখতিয়ার এবং অধিকার শুধুমাত্র যমুনা গ্রুপের একান্ত বিষয়, এটি কারো অনুরোধে ঢেঁকি গেলার বিষয় নয়। ’তিনি আরও বলেন, ‘অন্য কোনো কোম্পানির কোনো অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যমুনা গ্রুপ কোনো দায় অতীতেও নেয়নি, ভবিষ্যতেও নেবে না। ইহা সর্বসাধারণের অবগতির জন্য অবহিত করা হলো। ’
প্রসঙ্গত,গত ৪ জুলাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, দুদক, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ও বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের কাছে পৃথক চিঠি পাঠায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
গত মাসে ইভ্যালির বিরুদ্ধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতিবেদনে ইভ্যালির মোট দায় ৪০৭ কোটি ১৮ লাখ টাকা বলে উল্লেখ করা হয়।
গ্রাহকদের কাছে অগ্রিম ২১৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ও মার্চেন্টদের কাছ থেকে ১৮৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকা নেওয়ার পর ইভ্যালির চলতি সম্পদের পরিমাণ ৪০৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা হওয়ার কথা থাকলেও প্রতিষ্ঠানটির সম্পদ রয়েছে মাত্র ৬৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা।
news24bd.tv/আলী