বরিশালে করোনা সংক্রমণের হার কমলেও নমুনা পরীক্ষায় দুর্ভোগ কমেনি । এ বিভাগের ৬ জেলা ও সিটি করপোরেশন এলাকায় রযেছে মাত্র দুটি পিসিআর ল্যাব । এ কারণে দুর দূরান্তের মানুষকে ভোগান্তি মাথায় নমুনা দিতে হচ্ছে বরিশালে। আবার পরীক্ষার ফলাফল পেতেও দীর্ঘ সময় লাগছে ।
নমুনা পরীক্ষা আরও সহজসাধ্য ও হাতের নাগালে করার পাশাপাশি দ্রুত সময়ের মধ্যে ফলাফল দেয়ার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।শিশু সন্তানের নমুনা পরীক্ষা করাতে পটুয়াখালীর মহিপুর থেকে বরিশাল এসেছেন এই গৃহবধূ। সকাল ৭টা থেকে বসে আছেন শের-ই-বাংলা মেডিকেলের করোনা ওয়ার্ডে। তবে সকাল ১০টা পর্যন্ত দরজাই খোলেননি নমুনা সংগ্রহকারীরা।
বরিশাল বিভাগের ৬ জেলা ও সিটি করপোরেশন এলাকায় মাত্র দুটি পিসিআর ল্যাব। এ কারণে বাধ্য হয়ে চরম দুর্ভোগ সহ্য করে নমুনা পরীক্ষার জন্য শের-ই-বাংলা মেডিকেলে আসতে হচ্ছে প্রত্যন্ত এলাকার মানুষকে। তাদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণেই নমুনা সংগ্রহে নানা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে। ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেও নমুনা দিতে না পেরে ফিরে যেতে হচ্ছে অনেককে। আবার রিপোর্ট পেতেও বিলম্ব হচ্ছে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক বলছেন, করোনা সংক্রমণ কমায় আগের চেয়ে চাপ কমলেও নমুনা পরীক্ষার পরিসর বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে শের-ই বাংলার করোনা ওয়ার্ডে সর্বাধিক ৩৮০টি নমুনা সংগৃহিত হয়।
news24bd.tv/এমি-জান্নাত