১২ সেপ্টেম্বর স্কুল-কলেজ খোলাকে কেন্দ্র করে অনেকটা প্রস্তুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষ। নেয়া হয়েছে সব রকম স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা। তবে - আগের মতো নয়, নির্দিষ্ট আসন সংখ্যার অর্ধেক শিক্ষার্থী নিয়ে চলবে ক্লাস।
এদিকে, বন্যার কারনে দেশের বেশ কয়েকটি এলাকার স্কুল এখনও পানির নিচে। তাই এ সময়ে খুলছে না তাদের স্কুল। অনিশ্চয়তায় হাজার হাজার শিক্ষার্থী।গেল বছরের মার্চ থেকে এ বছরের সেপ্টেম্বর।
করোনা বাস্তবতায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চলছে পরিকল্পনা-প্রস্তুতি সভা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা,সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, এসব নিশ্চিতে গঠন করা হয়েছে বেশ কয়েকটি কমিটি।
১২ সেপ্টেম্বর স্কুল কলেজ খোলাকে কেন্দ্র করে ৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রস্তুত থাকার কথা বলা হয়েছে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। রাজধানীর বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঘুরে দেখা গেছে - প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই এখন অনেকটা প্রস্তুত, শিক্ষক-কর্মকর্তারা আছেন শিক্ষার্থীদের অপেক্ষায়।
জীবানুমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতে রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বুধবার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং মশক নিধন অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। এসময় মেয়র জানান - আগামী তিন দিন ঢাকা উত্তর সিটির প্রায় ৪৫০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন অভিযান চলবে।
তবে-শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্মল আনন্দ থেকে বঞ্চিত হতে পারে কুড়িগ্রাম, বগুড়াসহ দেশের বন্যা আর নদী ভাঙ্গনের কবলীত অঞ্চলের হাজারো শিক্ষক-শিক্ষার্থী। চলতি বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙ্গনের তীব্রতায় বসতবাড়ি, ফসলি জমিসহ কুড়িগ্রামে ৪ উপজেলার ৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে। আর ভাঙ্গনের হুমকিতে আরো ১৬ প্রতিষ্ঠান।
একই অবস্থা বগুড়ার সারিয়াকান্দিতেও। ১২ সেপ্টেম্বর থেকে বিদ্যালয় খুলবে এমন খবরে শিক্ষাক-শিক্ষার্থী আর অভিভাবতদের মাঝে উচ্ছ্বাস থাকলেও পাঠদান কার্যক্রম অনিশ্চিত। বিদ্যালয়ের মাঠসহ বন্যার পানিতে উপজেলার ২টি মাধ্যমিক ও ৩০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এখনো পানি।
প্রতিকূলতা পেরিয়ে আবারো স্কুল প্রাঙ্কণ মুখর হবে শিক্ষার্থীদের কলতানে, সে প্রত্যাশা সবার। ১১ দফা নির্দেশনা মেনে খুলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরলে আবার উৎসবমুখর পরিবেশ ফিরবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয়।
news24bd.tv/এমি-জান্নাত