মানবদেহে প্রাণীজ আমিষের চাহিদা পুরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে মাছ। তাই মাছের চাহিদাও রয়েছে প্রচুর। এই চাহিদা বিবেচনায় লাভ বেশী হওয়াই ঝিনাইদহের মহেশপুর দিন দিন বাড়ছে মাছের চাষ। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির পর থেকেই মাছের খাবারের দাম বৃদ্ধি, ব্যবসায়ীদের নানা অজুহাত, মাছের দাম কমসহ নানা কারনে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এই চাষের সাথে জড়িত মাছচাষীরা।

ঝিনাইদহ জেলা মৎস্য বিভাগের তথ্য মতে, মহেশপুর উপজেলায় প্রতি বছর মাছের উৎপাদন হয় ১০ হাজার ২শ’ মেট্রিকটন, এতে ১১ হাজার ৪শ’ মে.টন খাবারের প্রয়োজন হয়। তবে জেলার ৬ উপজেলায় প্রতি বছর মাছের উৎপাদন হয় ৪৫ হাজার ২ শ’ ৪৭ মেট্রিকটন। এই মাছ উৎপাদনে খাবার প্রয়োজন হয় প্রায় ৫০ হাজার ৬শ’ মে.টন। জেলায় মোট মাছ চাষীর সংখ্যা ১৪ হাজার ৭ শ’ ৪৫ জন।

মাছ চাষী রেজাউর ইসলাম জানান, মাছ চাষে বেশী লাভ হয়। কিন্তু সমস্যায় ফেলেছে মাছের খাবারের দাম। ২০ কেজির বস্তায় তিন দফায় কেজিতে ৩ টাকা করে বেড়েছে। অন্যদিকে মাছের দামও কমেছে প্রতি মনে গড়ে ২ হাজার টাকা। এই অবস্থায় খাবারের দাম না কমলে আমরা শেষ হয়ে যাবো। অপর এক মাছ চাষী রিয়াজ জানান, তেলাপিয়া মাছের খাবার ২৫ কেজি বস্তা গত বছর কিনেছি ১১শ’ টাকা করে। কিন্তু চলতি বছর একই বস্থা কিনতে হচ্ছে ১২শ' ২৫ টাকা করে। এভাবে খাবারের দাম বৃদ্ধি পেলে মাছ চাষ করবো কিভাবে।   

মাছের খামারি আহসানুজ্জামান রুমেল জানান, শুকনো মৌসুমে পুকুরগুলোতে সেচ দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। মাছ চাষ কৃষির অন্তর্ভুক্ত হলেও পুকুর সেচ কাজে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ বিল দিতে হয় বাণিজ্যিক হারে। একইসঙ্গে মাছের খাবার, ওষুধ, লবণ, চুনসহ মাছ চাষের প্রয়োজনীয় সব উপকরণের দাম বাড়লেও বাড়েনি মাছের বিক্রয়মূল্য। এতে মাছ বিক্রিতে লাভবান হওয়া তো দুরের থাক, উল্টো লোকসান গুণতে হচ্ছে আমাদের।

স্থানীয় খাবার ব্যবসায়ীরা মানিক ও মোসারফ হোসেন জানান, কোম্পানীর কাছে জানতে চাইলেই বলে কাঁচামালের দাম বেড়েছে তাই খাবারের দামও বৃদ্ধি। কিন্তু সরকার যদি সঠিক ভাবে মনিটরিং করতো তাহলে হয়তো এমনটি হত না।  

আরও পড়ুন:

টাইগারদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াড ঘোষণা

ছেলেকে সামলাতে গিয়ে রাতে ঘুম হচ্ছে না নুসরাতের, বেড়েছে ওজনও

সরকার আমলা ও কয়েকজন লোকের উপর নির্ভর করে টিকে আছে: মির্জা ফখরুল

ময়মনসিংহে গ্রেপ্তার জঙ্গিরা সন্ধান দেয় বসিলার, জেএমবির শীর্ষ নেতা আটক

ঝিনাইদহ মহেশপুর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, খাবারের দাম যাতে কমানো যায় সে ব্যাপারে বারবারই ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ করছি। কিন্তু তারা আমাদের বলছে করোনার কারণে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এ পরিস্থিতি কেটে গেলে হয়তো কমে যাবে খাবারের দাম, মাছের দামও বৃদ্ধি পাবে।

news24bd.tv/ নকিব