মূলধনের অভাবে অঙ্কুরেই নষ্ট হচ্ছে উদ্যোক্তাদের স্বপ্ন

Other

উদ্যোক্তা তৈরি কিংবা চাকরির বাজারে দক্ষ লোকবল তৈরিতে প্রশিক্ষণের নামে বিপুল অর্থ খরচ করছে সরকার। কিন্তু তা থেকে কাঙ্খিত সুফল মিলছে কতটুকু? 

বাস্তবতা বলছে, কষ্টের সব আয়োজন অঙ্কুরেই বিনষ্ট হচ্ছে মূলধনের অভাবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, বাস্তবভিত্তিক প্রশিক্ষণ এবং প্রশিক্ষণ পরবর্তী মনিটরিং না থাকায় অর্থের অপচয় হচ্ছে বেশি।  

গাইবান্ধার প্রত্যন্ত এলাকায় বসে টানা ৪ বছর তুলসী চা নিয়ে গবেষণা করেছেন মনোয়ারা তালুকদার।

কৃষকদের কাছ থেকে তুলসী পাতা সংগ্রহ ও বাজারজাত করে সুনাম কুড়িয়েছেন দেশ বিদেশে। ২০০৮ সালে সারা দেশ থেকে উদ্ভাবনীমূলক সেরা উদ্যোক্তা নির্বাচিত হন এসএমই ফাউন্ডেশনের কাছে। আয়োজন করে পাওয়া পুরস্কার কিংবা ব্যবসায়িক সুনাম এর সবই এখন তার কাছে ধূসর স্মৃতি।

বাগের হাটের সোনাপুর গ্রামের ৩০ বছর বয়েসী যুবক বায়েজীদ হোসাইন।

খুলনা যুব উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে টানা দেড় বছর সময় ব্যয় করে নিয়েছিলেন ৩টি প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণের পর চাকরি তো মিলেই নি; রুটি রুজির প্রয়োজনে এখন তিনি মাছ বিক্রেতা।

রাজধানীর হাজারিবাগের এই কারখানায় কাজ করছেন প্রায় ৬০ জন শ্রমিক। এখানকার উৎপাদিত চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হচ্ছে আমেরিকা ও সৌদি আরবে। গত ১ যুগে এই নারী উদ্যোক্তা এখন পর্যন্ত নিয়েছেন মাত্র দুটি স্বল্পকালীন প্রশিক্ষণ। তার মতেও প্রশিক্ষণের সাথে সমন্বয় নেই প্রয়োগের।

শ্রমবাজারে দক্ষ জনবল ও উৎপাদনশীলতা বাড়াতে প্রশিক্ষণের নামে বিপুল অর্থ খরচ হলেও শ্রমিকের মাথাপিছু উৎপাদনশীলতার মানদন্ডে তলানিতে বাংলাদেশ। যা প্রতিবেশী ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া কিংবা শ্রীলঙ্কার ধারে কাছেও নেই। বিশ্লেষকরা এজন্য প্রশিক্ষণ পরবর্তী তদারকির অভাবকেও দায়ি করছেন।

আরও পড়ুন:


লেখাপড়া না জেনে গান লিখতে গেলে তো এমনই হবে

একদিন পর খুলছে স্কুল-কলেজ, স্বাস্থ্য‌বি‌ধি নি‌শ্চি‌তে চল‌ছে তোড়‌জোড়

দেশে শনাক্ত ১৫ লাখ ২৭ হাজার ছাড়ালো

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চরিত্রে অভিনয়ের খবরে যা বললেন মিথিলা


দেশে ৬ লাখেরও বেশি দক্ষ লোকবল তৈরি ও তাদের চাকরি নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে  ৩ হাজার ৭শ কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম-এসইআইপি প্রকল্পের মাধ্যমে। ২০১৪ সালে শুরু হওয়া প্রশিক্ষণের সবচেয়ে বড় এ প্রকল্পের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত নিবন্ধিত হয়েছেন প্রায় ৫ লাখ লোক; যেখানে মাঝপথে ঝরে পড়েছেন প্রায় পৌনে ২ লাখ।

আইএলও ও এডিবির যৌথ জরিপ বলছে ২০২০ সালে যুব জনগোষ্ঠির প্রায় ২৫ শতাংশই  কর্মহীন! তাই প্রশিক্ষণের গুণগতমান ও দক্ষ লোকবল নিশ্চিত করা না গেলে ব্যাহত হবে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা।

news24bd.tv নাজিম