যে আমল করলে দ্রুত বিয়ের ব্যবস্থা করে দেন আল্লাহ তাআলা

যে আমল করলে দ্রুত বিয়ের ব্যবস্থা করে দেন আল্লাহ তাআলা

অনলাইন ডেস্ক

বিয়ে সবার উপর ফরজ নয়। এটি একটি সুন্নাতি আমল। মূলত বিয়ের বিষয়টি ব্যক্তির শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক অবস্থার উপর নির্ভর করে। তাই সবার ক্ষেত্রে বিয়ের হুকুম এক নয়।

ব্যক্তির উপর নির্ভর করে বিয়ে ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নাত, মোবাহ, মাকরূহ এবং হারাম হিসেবেও বিবেচিত।

কখন কার বিয়ে হবে তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। এমনও অনেক নারী-পুরুষ আছে যাদের বয়স হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিয়ে হয়ে যায়। আবার অনেকের বিয়ের প্রস্তাব পায় কিন্তু তা হয় না।

অনেকের তো প্রস্তাবই আসে না। তাই যাদের বিয়ের বয়স হয়েছে বা যাদের বিয়ে করার সামর্থ আছে তাদের বিয়ের জন্য আছে কিছু আমল। যেগুলো আমল করলে আল্লাহ দ্রুত বিয়ের ব্যবস্থা করে দেন।

১. ইসতেগফার করা

সব সময় জবানে ইসতেগফার জারি রাখা। অর্থাৎ ‘আসতাগফিরুল্লাহ, আসতাগফিরুল্লাহ’ পড়া। কেননা যে ব্যক্তি বেশি বেশি ইসতেগফার করে, সে মুসতাজেবুদ দাওয়াহ হয়ে যায়। যার দোয়া আল্লাহ কখনো ফেরত দেন না।
اَسْتَغْفِرُ الله – اَسْتَغْفِرُ الله
উচ্চারণ: আসতাগফিরুল্লাহ, আসতাগফিরুল্লাহ।
اَسْتَغْفِرُ اللهَ الَّذِىْ لَا اِلَهَ اِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّوْمُ وَ اَتُوْبُ اِلَيْهِ
উচ্চারণ : ‘আসতাগফিরুল্লাহাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলাইহি। ’

২. সূরা ইয়াসিন পাঠ করা

সূরা ইয়াসিন বিয়ে সংক্রান্ত সব সমস্যার সমাধান করে দেয়। সূরা ইয়াসিন পড়ার একটি বিশেষ আমল রয়েছে। যাদের বিয়ের প্রস্তাব আসে কিন্তু বিয়ে হয় না। তাদের জন্য এ আমলটি কার্যকরী। আর তাহলো-

সূরা ইয়াসিনে ৭টি মুবিন রয়েছে। প্রতিদিন সকালে সূর্য যখন পূর্ব আকাশে লাল হয়ে উঠে তখন, পশ্চিমমুখী হয়ে সূরা ইয়াসিন পড়া। আর যখনই ‘মুবিন’ শব্দ তেলাওয়াত করা হবে তখনই শাহাদাত আঙুল দিয়ে পেছনের দিকে অর্থাৎ সূর্যের দিকে ইশারা করা।

৩. সূরা আদ-দোহাসহ সূরা কাসাসের এ আয়াত পাঠ করা-

فَسَقَى لَهُمَا ثُمَّ تَوَلَّى إِلَى الظِّلِّ فَقَالَ رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيرٌ
উচ্চারণ: ‘ফাসাক্বা লাহুমা ছুম্মা তাওয়াল্লা ইলাজজিল্লি ফাক্বালা রাব্বি ইন্নি লিমা আংযালতা ইলাইয়্যা মিন খায়রিং ফাক্বির। ’
হজরত মুসা আলাইহিস সালাম যখন খুব একাকি ও বিষন্নতা অনুভব করতেন তখন তিনি এ আয়াতটি বেশি বেশি পাঠ করতেন।

তাই ওলামায়ে কেরাম নারী-পুরুষদের এ আমলটি দিয়ে থাকেন। যদি কোনো ছেলে এ আয়াতটি ১০০ বার পাঠ করে তাহলে শিগগিরই আল্লাহ তাআলা তার জন্য ভালো পাত্রীর ব্যবস্থা করে দেন।

আর মেয়েরা যদি নিয়মিত সূরা দোহা ১১ বার তেলাওয়াত করে তবে তাদের জন্য আল্লাহ তাআলা সর্বোত্তম পাত্রের ব্যবস্থা করে দেন।

৪ সূরা তাওবার এ আয়াতটি তেলাওয়াত করা
فَإِن تَوَلَّوْاْ فَقُلْ حَسْبِيَ اللّهُ لا إِلَـهَ إِلاَّ هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ
উচ্চারণ: ফাইং তাওয়াল্লাও ফাকুল হাসবিয়াল্লাহু লা ইলাহা ইল্লাহুয়া আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া হুয়া রাব্বুল আরশিল আজিম। ’

প্রতিদিন নামাজ আদায় করার পরপর বিয়ে আকাঙ্খী নারী-পুরুষের নিয়মিত এ আমলটি করা।

আরও পড়ুন


সূরা বাকারা: আয়াত ৬১-৬৪, স্বার্থপরতা ও ভোগ-লিপ্সার পরিণতি ধ্বংস

কবরের পাশে গভীর রাতে কাঁদলেন শামীম ওসমান

কসবা-আখাউড়াকে ঢেলে সাজিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক(ভিডিও)

নিউজিল্যান্ডের বোলাররা সত্যিই ভালো করেছে: রিয়াদ


৫. সূরা মরিয়ম পড়া

দিনের যে কোনো ওয়াক্তের নামাজ আদায় করে সূরা মারিয়ম তেলাওয়াত করা। এ আমলটি যারা বিয়ে করবে তারা পড়বে। যদি ছেলে মেয়েরা না পড়ে কিংবা পড়তে না পারে তাদের বাবা-মা বা অভিভাবকরাও পড়তে পারবে।

৬. তাসবিহে ফাতেমি পড়া

নিয়মিত নামাজের পর তাসবিহে ফাতেমি পড়া। আর তাসবিহে ফাতেমি পড়ার আগে কুরআন তেলাওয়াত ও দরূদ পাঠ করে পড়া উত্তম। তাসবিহে ফাতেমি হলো-
- سُبْحَانَ الله : আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার পড়া।
- اَلْحَمْدُ لِلّه : আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার পড়া।
- اَللهُ اَكْبَر : আলহামদুলিল্লাহ ৩৩/৩৪ বার পড়া।

৭. সূরা মুজাম্মিল পড়া

যদি কোন মেয়ে বড় হয়ে যায়, কোন বিয়ের প্রস্তাব না পায় তাহলে মা-বাবা অথবা অভিভাবক যে কোনো একজন শুক্রবার জুমআর নামাজের পর ২ রাকাআত নামাজ আদায় করে ২১ বার সূরা মুজাম্মিল পড়বে।

আল্লাহ তাআলা বিয়ে প্রত্যাশী নারী-পুরুষ কিংবা তাদের অভিভাবকদের নিয়মিত উল্লেখিত আমলগুলো করার তাওফিক দান করুন। কুরআন-সুন্নাহর বিধিবিধান যথাযথ পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

news24bd.tv এসএম