আঙিনায় বন্যার পানির রেখেই দৌলতপুরে ৯টি বিদ্যালয় খোলা হচ্ছে

আঙিনায় বন্যার পানির রেখেই দৌলতপুরে ৯টি বিদ্যালয় খোলা হচ্ছে

Other

কুষ্টিয়ার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে শর্ত মেনে খোলার জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। তবে দৌলতপুর উপজেলার যে ৯টি বিদ্যালয়ের মাঠে এখনো বন্যার পানি আছে সেগুলো খোলা থাকলেও শিক্ষার্থীদের আসার ব্যাপারে বাধ্যবাধকতা নেই। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাইদা সিদ্দীকা বলেন, স্কুল খোলা থাকবে। বাচ্চারা আসলে ক্লাস হবে।

 

গতমাসে আগাম বন্যায় তলিয়ে যায় দৌলতপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের অন্ততঃ ৩০টি বিদ্যালয়। রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ইনসাফনগর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল করিম বলেন, তার বিদ্যালয় থেকে পানি নেমে গেছে। তবে, এখনো এলাকার নিচু জায়গায় পানি থাকায় শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসা কঠিন হবে।  

তিনি বলেন, গত দুই দিনে বিদ্যালয় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে।

সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক স্কুল খোলা হবে। শিক্ষার্থীরা আসতে পারলে পাঠদান করা হবে- বলেন রেজাউল করিম।

দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, সব বিদ্যালয়ের শ্রেণীক্ক্ষ থেকে পানি ইতোমধ্যেই নেমে গেছে। এখনো কিছু বিদ্যালেয়ের আঙিনায় পানি আছে। সেসব বিদ্যালয়ও খোলা হবে। শিক্ষকরা স্কুলে থাকবেন। কিন্তু শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসার ব্যাপারে কোন বাধ্যবাধকতা থাকছে না। তারা বিদ্যালয়ে আসতে পারলে শিক্ষকরা পাঠদান করবেন।

এদিকে কুষ্টিয়া শহরের কলকাকলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে করোনার স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র রেখেই কাল শুরু হচ্ছে ক্লাস।  

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জেব-উন-নিসা বলেন, সিভিল সার্জনের অনুরোধে কিছুদিনের জন্য কেন্দ্র বিদ্যালয়ের এক প্রান্তে রাখা হচ্ছে। তবে তাদের শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। বিদ্যালয়ের পূর্বপ্রান্ত নতুন ৪ তলা ভবনে টিকাদান কেন্দ্র থাকবে। প্রধান গেট দিয়ে প্রবেশ করে টিকা গ্রহীতারা শৃঙ্খলার মধ্যে টিকা নেবেন।  

আর আলাদা একটি পথ দিয়ে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে প্রবেশ করবে। তারা পশ্চিম প্রান্তের ভবনে পাঠ নেবেন। জেব-উন-নিসা বলেন, বিদ্যালয়ে বড় আঙিনা থাকায় কোন সমস্যা হবে না।  

আরও পড়ুন:


সংক্রমণ বাড়লে আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্কুল খোলার পর যেভাবে চলবে প্রাথমিকের ক্লাস!


NEWS24.TV / কেআই