রশি দিয়ে বাধা প্রতিবন্ধী শহিদের বন্দী জীবন

রশি দিয়ে বাধা প্রতিবন্ধী শহিদের বন্দী জীবন

Other

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার গোমস্তাপুর ইউনিয়নের বালুগ্রাম দক্ষিণটোলা গ্রামের টুটুলের ছেলে শহিদ মানসিক প্রতিবন্ধী শহিদকে (১৫) বন্দী রাখা হচ্ছে কোমড়ে দড়ি বেধে।  

১০ বছর ধরে চলছে তার বন্দী জীবন। শিশু বয়স থেকেই সে শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ। যখন তার ৫ বছর বয়স তখন শহিদের কিছু অস্বাভাবিক আচরনের জন্য তার বাবা-মা তাকে রশি দিয়ে বেধে রাখতে শুরু করে।

সে থেকেই চলছে তার বন্দী জীবন।  

শহিদের মা মোসা. আয়েশা বেগম বলেন, আমার জমজ দুটি ছেলে হয়েছিল। তার মধ্যে এই ছেলেটির (শহিদ) বয়স যখন এক বছর তখন তার শরীরে জ্বরসহ নানা উপসর্গ দেখা দেয়। ফলে তার শারীরিক ও মানসিক সমস্যা হয়।

অনেকদিন পর্যন্ত সে হাটাচলা করতে পারেনি। তাকে বিভিন্ন হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা করার পরেও সুস্থ করা সম্ভব হয়নি। ছেলেটিকে নিয়ে আমাকে অনেক কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে।  

ছেলেটি যখন হাটতে শিখে করে তখন সে সুযোগ পেলেই পালিয়ে যেত। তাই রশি দিয়ে বেঁধে রাখার কারণ হচ্ছে, পাশে খাঁড়ি থাকায় সে পানিতে ঝাপ দিতে পারে এই আশঙ্কা এবং সে দৌড় দিয়ে অনেক দূরে পালিয়ে যায়। তাকে খুঁজতে আমাদের অনেক সমস্যায় পড়তে হয়।  

যার জন্য তার কোমড়ে দড়ি বেধে রাখতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, স্বামী হাট-বাজারে লবণের ব্যবসা করে। তেমন আয় রোজগার  হয় না। ফলে ছেলেটির উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছিনা। ৪ বছর হল তার প্রতিবন্ধী ভাতা চালু হয়েছে। তাও আবার ৩ মাস পর পর পাই। এতে তেমন কিছু হয় না। সপ্তাহে ছেলের জন্য দেড়শ টাকার ওষুধ কিনতে হয়। তিনি সন্তানের চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের সহায়তা কামনা করেছেন।  

আরও পড়ুন:


আঙিনায় বন্যার পানির রেখেই দৌলতপুরে ৯টি বিদ্যালয় খোলা হচ্ছে

বাগেরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্রিকেটার রিদু নিহত

স্কুল খোলার পর যেভাবে চলবে প্রাথমিকের ক্লাস!


NEWS24.TV / কেআই