অবৈধভাবে সমুদ্রপথে ইউরোগামীদের ১৪ শতাংশই বাংলাদেশি

Other

অবৈধভাবে সমুদ্র পথে ইউরোপগামীদের ১৪ শতাংশই বাংলাদেশি। ইউরোপে ঢুকতে তারা জলে-স্থলে ব্যবহার করছে ৮ রুট। এ তথ্য জানিয়েছে ইউরোপীয় সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ সংস্থা-ফ্রন্টেক্স। তবে দেশের কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর তথ্য বলছে, এই রুটের সংখ্যা ১৮।

এমন যাত্রায় এখন পর্যন্ত মারা গেছেন বাংলাদেশিসহ ২২ হাজার মানুষ।  

চলতি বছরের ১৭ মে  ৯০ জন অবৈধ অভিবাসন প্রত্যাসী নিয়ে ভূ-মধ্যসাগরে ডুবে যায় একটি নৌকা। এরা লিবিয়া হয়ে ইউরোপ যাচ্ছিলো। এ ঘটনায় তাৎক্ষনিক ভাবে ৩৩  উদ্ধার করা হয় যাদের সবাই বাংলাদেশি।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার তথ্য বলছে, ২০১৪ থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের মোট ২২ লাখ ২৪ হাজার ২৪৫ জন  সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইউরোপে ঢুকেছে। এভাবে সমুদ্র পাড়ি দিতে গিয়ে এই সময়ে প্রাণ হারিয়েছেন ২১ হাজার ৭০৭ জন। মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে এভাবে ইউরোপে প্রবেশের মধ্যে শির্ষে রয়েছে বাংলাদেশ।  

ইউরোপিয় সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ সংস্থা-ফ্রন্টেক্স অনিয়মিত অভিবাসনের জন্য নয়টি রুট চিহ্নিত করলেও, দেশের একটি সংস্থার গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে, বাংলাদেশের অভিবাসন প্রত্যাসীরা ১৮টি  রুট ব্যবহার করে। ইতোমধ্যেই এসব রুটে ৩৭ হাজার ১৯৮ জন বাংলাদেশী অবৈধভাবে ইউরোপ গেছেন।

র‌্যাবের তথ্যমতে, ২০১৯ সালে ৩২টি অভিযান চালিয়ে ৫৩ জন ভুক্তভোগী উদ্ধারসহ গ্রেফতার করা হয় ৭৪ জন মানব পাচারকারীকে। পরের বছর পাচার হওয়া ৬৬ জন ভুক্তভোগীকে উদ্ধারসহ ৮৫ জন দালালকে গ্রেফতার করে সংস্থাটি। চলতি বছরে এ সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি।   আর কোস্টগার্ড গেল চার বছরে বাংলাদেশের সমুদ্র সীমায় উদ্ধার করেছে ২০২১ জন মানুষকে।  

আরও পড়ুন:


দুই মেয়েসহ মা নিখোঁজ উৎকন্ঠায় পরিবার

রশি দিয়ে বাধা প্রতিবন্ধী শহিদের বন্দী জীবন

বাগেরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্রিকেটার রিদু নিহত

স্কুল খোলার পর যেভাবে চলবে প্রাথমিকের ক্লাস!


 

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, বিমানে করে বৈধ উপায় লিবিয়া, কাজাকিস্তান, তিউনিশিয়া, গিয়ে সেখান থেকে ইউরোপে প্রবেশের জন্য, বিভিন্ন রুট ব্যবহার করা হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের চলতি বছরের জানুয়ারির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সারা দেশে মানব পাচার সংক্রান্ত ৪ হাজার ৯৪৫টি মামলা হয়েছে।

news24bd.tv/আলী