করোনাকালে দেশে বাল্যবিয়ে বেড়েছে ৫০ শতাংশ

Other

করোনাকালে দেশে বাল্যবিয়ে বেড়েছে ৫০ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি উপকূলীয় জেলা বরগুনায়, এরপরের অবস্থান উত্তরের জেলা কুড়িগ্রাম।  

বাল্যবিবাহের শিকার অধিকাংশ মেয়েই স্কুল কলেজে আসছে না। অভিভাবকদের বুঝিয়ে তাদের শিক্ষাঙ্গনে ফিরিয়ে আনার তাগিদ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

এই শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করলে শুধুমাত্র পরিবারের জন্যই নয়, রাষ্ট্রের জন্যও বড় সম্পদ হবে বলে জানান তারা।  

করোনার কারণে প্রায় দেড় বছর পর ১২ সেপ্টেম্বর খুলেছে স্কুল কলেজ। অনেক জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কিশোরীদের উপস্থিতি কম।  

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের জরিপ বলছে, করোনাকালে দেশে বাল্যবিবাহ বেড়েছে ৫০ শতাংশ।

১৩ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে বিয়ে হচ্ছে প্রায় ৪৮ শতাংশ মেয়ের। সর্বোচ্চ সংখ্যক বাল্য বিয়ে হয়েছে বরগুনা জেলায়। এরপরই কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লক্ষ্মীপুর এবং কুষ্টিয়া জেলার অবস্থান।

বিয়ের পর শিশুরা আর শিক্ষাঙ্গনে আসছে না। করোনার কারণে প্রায় দেড় বছর ধরে স্কুল বন্ধ থাকা, পরিবারের আয় কমে যাওয়া ও নিরাপত্তাহীনতাকে বাল্যবিবাহের অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে আরও বড় কারণ মেয়েদেরকে বোঝা মনে করার প্রবণতা।

আরও পড়ুন:


বাংলাদেশে যারা গান শেখে, তাদের কোনো স্বপ্ন আছে কী?

তারকারা সবাইকে আনন্দে রাখেন, কিন্তু তাদের অনেকের জীবন কষ্টে ভরপুর

রাতের রাজা বা কোনো জ্বিনকে আটক করা যাবে না


করোনাকালে বিয়ে হয়েছে অনেক অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেরও। বাল্যবিয়ে হওয়া শিশুদের আবার শিক্ষাঙ্গনে ফিরিয়ে আনতে নানামুখী উদ্যোগ নেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

ইউনিসেফের হিসেবে, বর্তমান বিশ্বে বছরে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মেয়ের শিশু বয়সেই বিয়ে হয়।

news24bd.tv নাজিম