বরিশালে সোহাগ হত্যা মামলায় দুই আসামির ফাঁসি, চারজনের যাবজ্জীন

বরিশালে সোহাগ হত্যা মামলায় দুই আসামির ফাঁসি, চারজনের যাবজ্জীন

Other

বরিশালের উজিরপুর পৌর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পোষাক ব্যবসায়ী সোহাগ সেরনিয়াবাত হত্যা মামলার রায়ে দুই আসামিকে ফাঁসি এবং চার জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় এই মামলা থেকে ১০ জন কে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।  

বরিশাল জন নিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক টিএম মুসা আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি এমরান পলাতক এবং অন্য সকল আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

 

এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহতের বাবা এবং বাদী পক্ষের আইনজীবী ও রাস্ট্রপক্ষ। অপরদিকে এই রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়নি দাবি করে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চাদালতে আপীল করার কথা বলেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো উজিরপুর সদরের ‘দাদা বাহিনী’ প্রধান পৌর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জিয়াউল হক লালন মহুরী এবং একই উপজেলার আটিপাড়া গ্রামের রিয়াদ সরদার। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো লালনের ভাই মামুন হাওলাদার ও এমরান হাওলাদার, বিপ্লব পাটনী এবং ওয়াসিম সরদার।

 

খালাসপ্রাপ্তরা হলো- তারেক হাওলাদার, বাবু দাস, শিমুল, সুজন মল্লিক, সোহাগ তালুকদার, আলতাফ হোসেন, সজিব, সুমন মোল্লা, আলমগীর ও বিপ্লব দাস।  

মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, সৌদি ফেরত সোহাগ সেরনিয়াবাত উজিরপুর সদরে আলিফ ওয়ান ফ্যাশন নামে একটি পোষকের দোকান ছিল। আসামিরা ২ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে ইতিপূর্বে সোহাগের দোকান ভাংচুর করে। এরপরও চাঁদা না দেয়ায় সোহাগের উপর ক্ষুব্ধ ছিল তারা।  

২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে সোহাগ দোকান বন্ধ করে মোটরসাইকেল যোগে তার এক বন্ধু জাহাঙ্গীরকে স্থানীয় কালীখেলা নামিয়ে অপর বন্ধু সাইফুলকে সাথে নিয়ে নিজ বাড়ির দিকে ফিরছিল। পৌর শহরের ভিআইপি রোডের হাঁসি ভিলা এলাকা অতিক্রমকালে সোহাগের মোটরসাইকেল থামায় আগে থেকে সেখানে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা। মোটরসাইকেল থামানোর সাথে সাথে আসামিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে সোহাগকে উপর্যপুরি কুপিয়ে পালিয়ে যায়।  

আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  

এ ঘটনায় পরদিন ৫ সেপ্টেম্বর সোহাগের মামা খোরশেদ আলম নান্টু বাদী হয়ে উজিরপুর থানায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ১১ নভেম্বর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক শাহাবুদ্দিন চৌধুরী ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এই মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন। পরে জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে ৩১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক ওই রায় ঘোষণা করেন।

এই রায়ে সোহাগের পরিবার সন্তুস্ট। তবে ১০ জন আসামী খালাস পাওয়ায় তাদরে বিরুদ্ধে উচ্চাদালতে যাওয়ার কথা বলেন নিহত সোহাগের বাবা ফারুক সেরনিয়াবাত। বাদীর পক্ষের আইনজীবী একেএম আরিফুর রহমান খানও এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। রাস্ট্র পক্ষের আইনজীবী লস্কর নুরুল হকও রায়ে সন্তুস্ট।  

তবে আসামি পক্ষের আইনজীবীর দাবি, এই মামলার কোন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী নেই। রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চাদালতে যাবেন।  

আরও পড়ুন


লন্ডনের বিলাসবহুল হোটেলে মরিয়ম নওয়াজের ছেলের বিয়ে

বারবার রিমান্ডে পরীমণি: ক্ষমা চাইলেন দুই বিচারক

বছর না ঘুরতেই অন্তঃসত্ত্বা কাজল!

বাণিজ্য মেলা হবে এবার নতুন স্থানে, ১ জানুয়ারি থেকে শুরু


NEWS24.TV / কেআই