ডিভাইজ মানে ল্যাপটপ, মোবাইল ও ট্যাব নিয়ে অভিভাবকদের বিড়ম্বনার শেষ নেই। করোনা আসার আগে অভিভাবকরা সন্তানের ডিভাইজ আসক্তি নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন। করোনা আসার পর এই ডিভাইজের কিছুটা কার্যকর ব্যবহার অভিভাবকরা শিখতে পারলেন। সন্তানরা আরো বেশি করে ডিভাইজে ডুবে গেলো।
স্কুল খোলা রেখেও বোধ হয় এসব ডিভাইজের জগৎ থেকে আমরা আর বের হতে পারব না। কেন পারব না তা বলতেই এই লেখা।ডাক্তার দেখানো থেকে বাজার করা, শহরের মানুষের মোবাইল ফোন দারুন সব সমাধান দিয়ে দিচ্ছে। মহামারীর কারণে যারা ভিড় এড়াতে চেয়েছেন, তারাই এসব ডিভাইজের সহায়তা নিয়েছেন।
শিক্ষকরাও অনলাইনে ক্লাস করতে গিয়ে নতুন নতুন শিক্ষা উপকরণ ব্যবহার করেছেন। এসব উপকরণের মধ্যে ইউটিউব বেশ গুরুত্ব পেয়েছে। অনেকে পা্ওয়ার পয়েন্টে পড়া তৈরি করে উপস্থাপন করেছেন। জি, পাওয়ার পয়েন্ট এখন আর কর্পোরেট এক্সিকিউটিভদের দখলে নেই, এটা অনেক আগেই শিক্ষা উপকরণ হয়ে গেছে।
আগে কালো বোর্ডে সাদা চক বা সাদা বোর্ড রঙিন মার্কার --শিক্ষার্থীদের জগতে বইয়ের মতো মনলোভা ছিলো। এখন ইউটিউবে মোশন তাদের জন্য শেখার কাজটি সহজ করে দিয়েছে। এই রঙিন দুনিয়াকে পাশ কাটিয়ে শুধু বই ও চক ডাস্টারের দুনিয়ার ফিরে গেলে, শিক্ষার্থীরা মনোযোগ হারাবে, সন্দেহ নেই। ফলে, ক্লাসরুমেও তাদেরকে ডিভাইজের মাধ্যমে শিক্ষা দিতে হবে। শহরের স্কুলগুলো সে ব্যবস্থা করলেও, গ্রামের স্কুলগুলো কতোটা পারবে, সংশয় আছে। তবে তাদের সক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প নেই।
এখন শিক্ষার্থী যদি ডিভাইজ ছাড়া শেখার সময়ে মনোযোগ হারায় তাহলে শিক্ষককে বিরক্ত হওয়া যাবে না। বিশেষ করে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিকে শিক্ষকের বিরক্তি প্রকাশ শিক্ষার্থীর মাঝে পড়ার বিষয়ে অনীহা তৈরি করতে পারে। আর একবার শিশুর পাঠে অনীহা তৈরি হলে তা ফিরিয়ে আনা কতোটা কঠিন তা ভুক্তভোগী ছাড়া আর কে বুঝবে?
ফলে, স্কুল খুললেও ইন্টারনেট ভিত্তিক পড়ালেখা বরং অনেক বেশি আবেদন এরইমাঝে তৈরি করেছে বলে মনে করা যায়। সত্যি আমাদের শিক্ষকদের ওপর দিয়ে বেশ ভালোই ঝড় বয়ে যাচ্ছে। তাদের জন্য ভালোবাসা রইল।
লেখাটি নিউজ টোয়েন্টিফোর টিভির সিনিয়র নিউজ এডিটর, আনোয়ার সাদী-এর ফেসবুক থেকে নেওয়া।
(সোশ্যাল মিডিয়া বিভাগের লেখার আইনগত ও অন্যান্য দায় লেখকের নিজস্ব। এই বিভাগের কোনো লেখা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়। )
news24bd.tv তৌহিদ