প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের কাছে জিম্মি হচ্ছে রাষ্ট্র

প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের কাছে জিম্মি হচ্ছে রাষ্ট্র

Other

তথ্য প্রযুক্তির যুগে আপনার তথ্য কতটা নিরাপদ। ল্যানসেটের গবেষণা বলছে, বিশ্বব্যাপি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে তুলে দিয়েছেন তাদের তথ্য। অথচ ব্যবহারকারী নিজেই জানেন না কবে আর কীভাবে দিয়েছেন এত তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে করে ব্যক্তিগত স্বার্থ অক্ষুন্ন থাকলেও একটি রাষ্ট্রের সমষ্টিগত তথ্য জিম্মি হয়ে হয়ে পড়ছে গুটি কয়েক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের হাতে।

যখনই নিজের মুঠোফোন কোন অ্যাপ ডাউনলোড করা হচ্ছে, সেই অ্যাপ চেয়ে বসে লোকেশন, ফোনবুক, মাইক্রোফোন। তবে ক্ষেত্র বিশেষে অনুমতি চায় ব্যাক্তিগত মেসেজিং, গ্যালারিসহ বিভিন্ন তথ্য।

এসব তথ্য দিয়ে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যক্তি, বয়স ও পছন্দ ভেদে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন পাঠায়। তথ্যগুলো ছোট প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের কাছেও বিক্রি হয় চড়া মূল্যে।

সেই সাথে তারা বের করে সমষ্টিগত এমন কিছু তথ্য যা কোন রাষ্ট্রের কাছেও নেই।

সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা বলছেন, গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপলিকেশনে যতগুলো অ্যাপ থাকে কেউ না কেউ সেই প্রত্যক্ষ বা প্ররোক্ষভাবে সেই ডেটাগুলো কারও না কারও কাছে বিক্রি করে দেয়।

আরও পড়ুন


কারওয়ান বাজার ও গুলশান-২ নিয়ে মহাপরিকল্পনা ডিএনসিসির

বান্দরবানে ঝিরিতে ভেসে যাওয়া মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার

চাকরির কথা বলে ফাঁকা বাড়িতে ডেকে ৮ জন মিলে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

বান্দরবানে পাহাড়ি ঝিরিতে ভেসে গিয়ে ২ সন্তানসহ মা নিখোঁজ


প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মাহফুজুল ইসলাম জানান, যেই তথ্য সরকারের কাছে নেই সেই তথ্য পাওয়া যাচ্ছে গুগলের কাছে। ফলে দেশ হিসেবে আমরা গুগলের কাছে জিম্মি হয়ে যাচ্ছি।  

একটি দেশ গুটি কয়েক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের কাছে জিম্মি হতে পারে না উল্লেখ করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিজস্ব সার্চ ইঞ্জিন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ডেটা সেন্টার তৈরির মাধ্যমে দেশের তথ্য ও দেশেই রাখতে হবে।

তানভীর হাসান জোহা আরও বলেন, আমার তথ্য আমি কেন থার্ড পার্টি অ্যাপ্লিকেইশনকে দেব, কি কারণে দেব? কেন দেব? তার একটি সুস্পষ্ট ও যৌক্তিক ধারণা থাকতে হবে। আর অধ্যাপক ড. মাহফুজুল ইসলাম জানান, নিজেস্ব ডেটা সেন্টার, সোশ্যাল মিডিয়া এবং নিজেস্ব ক্লাউডসহ যাবতীয় নেটওয়ার্কিং সাইটের দিকে অগ্রসর হতে হবে।

news24bd.tv এসএম