স্ত্রী হত্যার অভিযোগ, স্বামী-শ্বশুর পলাতক

স্ত্রী হত্যার অভিযোগ, স্বামী-শ্বশুর পলাতক

Other

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে উপজেলার রশিদপুর এলাকায় (১৫ সেপ্টেম্বর রাতে) স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনার পর থেকে স্বামী ও শ্বশুর পলাতক রয়েছে। এ বিষয়ে থানায় মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

নিহত হলেন- গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানার রশিদপুর বড়চালা এলাকার মৃত শামীম হোসেনের মেয়ে সাদিয়া আক্তার মিম(২০) এবং একই এলাকার শাহ -আলম সরকারের ছেলে শিমুল সরকারের স্ত্রী।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২বছর আগে সাদিয়া আক্তার মিমের সাথে শিমুলের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু দিন পর থেকে স্বামী বিভিন্ন সময় সাদিয়াকে যৌতুকের জন্য চাপ দিতো। এছাড়া স্বামী সাথে সাথে স্বামীর পরিবারও বিভিন্ন সময় যৌতুক দাবি করতেন এবং নানা রকমের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতেন। এটা এক সময় জীবন নাশের হুমকিতেও পরিণত হয়।

এবিষয় নিয়ে দুই পরিবার একাধিক বার বসেও কোনো সমাধান হয়নি। পরে যৌতুকের দাবিতে মাস খানেক আগে সাদিয়ার বাবার কাছে মোটরসাইকেল কেনার জন্য ৫০হাজার টাকা দাবি করে শিমুল ও তার পরিবার। নিহতের পরিবার টাকা দিতে রাজি না হওয়াতে ২দিন ধরে বেধর মারধর করে শিমুল সাদিয়াকে। এসময় কোনো খাবারও দেওয়া হয়নি সাদিয়াকে। এ বিষয় নিয়ে দুই পরিবার বুধবার সন্ধ্যায় মিমাংসা হলেও মনের আক্রোশ মেটাতে রাতে ওই নারীকে হত্যা করে ঘরের মেঝে মধ্যে ফেলে রেখে তার স্বামী ও স্বামীর পরিবার দাবি নিহতের পরিবারের। পরে কৌশল করে পালিয়ে যায় স্বামী ও শ্বশুর। তারা এখনো পলাতক রয়েছে। পরের দিন (১৬ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেন। পরে ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন: 


চীনে ১০ কি.মি. গভীরতার শক্তিশালী ভূমিকম্পের হানা

দুবলার চর থেকে খুলনা কাঁকড়া পরিবহনে বাধা নেই: হাইকোর্ট


নিহতের স্বজন আবু সাইদ জানান, সাদিয়াকে তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোক মাঝে মাঝে যৌতুকের জন্য চাপ দিয়ে আসছিল এবং মাঝে মাঝে মারধোর করতো স্বামী ও তার পরিবার। এর মাঝে মোটরসাইকেল কিনবে বলে ৫০হাজার টাকা দাবি করে। টাকা দিতে না পারায় মেয়েটিকে খুব মারধর করে। সকালে জানতে পারি সাদিয়া মারা গেছে। আমাদের সন্দেহ ওর স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোক ওকে হত্যা করেছে। তা না হলে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোক পলাতক কেন? আমরা অভিযোগ দিতে চাইছি। তবে পুলিশ বলছে ইউডি মামলা করার জন্য এতে নাকি ময়নাতদন্তের পর সব বেড়িয়ে আসবে।

কালিয়াকৈর থানার উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম জানান, নিহতে পরিবার ইউডি মামলা করার প্রস্তুতি করছে। আমরা মামলা নিয়ে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। তবে স্বামীর পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সাদিয়া নাকি ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে এটা হত্যা না আত্মহত্যা।

news24bd.tv তৌহিদ

সম্পর্কিত খবর