শর্টস পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে তরুণী, পরীক্ষা দিতে হল পর্দায় পা ঢেকে!

শর্টস পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে তরুণী, পরীক্ষা দিতে হল পর্দায় পা ঢেকে!

অনলাইন ডেস্ক

শর্টস পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা দিতে গিয়েছিলেন আসামের উনিশ বছর বয়সী এক তরুণী। কিন্তু এ নিয়ে হেনস্তার শিকার হতে হলো তাকে। এ ঘটনায় ভারতে বেশ আলোড়ন তৈরি করেছে।  

হেনস্তার শিকার হওয়া তরুণীর নাম জুবিলি।

তিনি ভারতের আসাম রাজ্যের তেজপুরের বিশ্বনাথ চরিয়ালির বাসিন্দা। তিনি গত বুধবার বাবাকে নিয়ে আসামের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে যান। নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়েও বসেন তিনি। কিন্তু এরপরেই সমস্যাটি  শুরু হয়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-কে জুবিলি বলেন, “পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার অনুমতি দিয়েছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। কিন্তু পরীক্ষা যে ঘরে পড়েছিল সেই ঘরে ঢুকতে যেতেই পরীক্ষকের বাধার মুখে পড়তে হয়। তিনি সাফ জানিয়ে দেন শর্টস পরে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া যাবে না। ”

বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করলেও তাতে ফল হয় নি। এরপর কেন্দ্র থেকে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে আসেন তিনি। বিষয়টি জানাজানি হলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তাকে পা ঢেকে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেন।  

এরপরেই তার বাবা ৮ কিলোমিটার দূরের একটি পোশাকের দোকানে ছুটে যান। তবে তিনি ফিরে আসতে আসতেই সমস্যা মিটে যায়। তরুণীকে পর্দা দেওয়া হয় পা ঢেকে বসার জন্য!

প্রবেশ পত্রে ড্রেসকোড নিয়ে কোথাও কিছু বলা নেই বলে অভিযোগ করেন তিনি। জুবিলি আরও জানান, কয়েকদিন আগেই তিনি আরও একটি পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন। সেখানে তাকে কিছুই বলা হয় নি।  

আরও পড়ুন:

ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ পাঁচে নেই আর্জেন্টিনা

ইভ্যালিকে দেউলিয়া ঘোষণা করতে চেয়েছিল রাসেল: র‍্যাব

নুসরাতকে আর সমর্থন দেবেন না তসলিমা নাসরিন

অবশেষে মৃত্যুর ৫ বছর পর ‘ছাড়পত্র’ পেল দিতির শেষ সিনেমা


জুবিলি বলেন, “প্রত্যেকেরই একটা কমফোর্ট জোন থাকে। ছেলেরা গেঞ্জি (ভেস্ট) পরলে আপত্তি করা হয় না। কিছু পুরুষ আবার খালি গায়েই রাস্তাঘাটে ঘুরে বেড়ান। তখনও কেউ কিছুই বলেন না। অথচ মেয়েরা শর্টস পরলেই যত সমস্যা!”

এটাকে জীবনের সবচেয়ে অপমানজনক অভিজ্ঞতা বলে জানিয়েছেন জুবিলি। এ বিষয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীকে অভিযোগ জানিয়ে চিঠি লিখবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

news24bd.tv/ নকিব