কুষ্টিয়ায় একই পরিবারের ১৬ জনকে গলা কেটে হত্যার সাক্ষী সেই কহিনূর ভিলা

কুষ্টিয়ায় একই পরিবারের ১৬ জনকে গলা কেটে হত্যার সাক্ষী সেই কহিনূর ভিলা

Other

১৮ সেপ্টেম্বর। কুষ্টিয়ার কহিনূর ভিলা গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালে এই দিনে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাড়িটিতে ১৬ জনকেই গলা কেটে হত্যা করে রাজাকার ও বিহারীরা। মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করে স্বাধীনতার পক্ষে থাকায় একটি পরিবার নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলেও তাদের স্মৃতি রক্ষায় নেয়া হয়নি কোন উদ্যোগ।

বাড়ির সামনে যে স্মৃতিফলক আছে সেখানে অস্পস্ট হয়ে গেছে শহীদদের নাম।

১৯৭১ সালে ১৮ সেপ্টেম্বর সকালে এই বাড়ির সামনে ড্রেনে রক্ত দেখে আঁতকে ওঠেন স্থানীয়রা। তখনও কেউ বুঝতেই পারেনি রাত গভীরে কী নৃশংসতা চলেছে কহিনূর ভিলায়। মুক্তিযোদ্ধাদের রুটি আর পানি দেয়ার অপরাধে রাজাকার ও বিহারীরা বাড়ির ১৬ জনকে গলা কেটে হত্যা করে।

news24bd.tv

বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দীন আহমেদ বলেন, নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল বাড়িটিতে। শিশুদেরও ছাড়েনি তারা। তাদেরও হলা কেটে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। এমনকি সন্তান সম্ভবা নারীদের পা দিয়ে আঘাত করে মেরে ফেলা হয়েছিল।

বিভৎস মরদেহগুলো বাড়ির পেছনেই গণকবর দেন স্থানীয়রা। দেশ স্বাধীনের পর এই পরিবারের উত্তরসূরীরা ভারত থেকে এসে কহিনূর ভিলায় বসবাস শুরু করেন।

আরও পড়ুন


ফের আইসিইউতে ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলে

সূরা বাকারা: আয়াত ৭৫-৭৯, আল্লাহর বাণী শোনা ও ইহুদীদের বিরুদ্ধাচারণ

মাহফুজ আনাম ও শাহীন আনামের কুশপুত্তলিকা দাহ হিন্দু মহাজোটের

দুই হাসপাতাল ঘুরে গুলশান থানায় রাসেল


বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুল জলিল অভিযোগ করে বলেন, এ গণহত্যার শিকার যারা তারা আজও পায়নি শহীদের মর্যাদা। নেয়া হয়নি স্মৃতি সংরক্ষণের উদ্যোগ। তাই তার দাবি এই গণহত্যার জায়গাগুলো সংরক্ষণের। যাতে করে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এসব হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে জানতে পারে।

এই কহিনূর ভিলাকে ঘিরে কোন উদ্যোগ নেওয়া হবে কী না- প্রশ্ন করা হলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম জানান, স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলে এই বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে।  

কহিনূর ভিলাকে অধিগ্রহণ করে স্মৃতি জাদুঘর করার প্রস্তাব রয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের।

news24bd.tv এসএম