অফিসে স্যার-ম্যাডাম ডাকা নিষিদ্ধ করলো কেরালা

অফিসে স্যার-ম্যাডাম ডাকা নিষিদ্ধ করলো কেরালা

অনলাইন ডেস্ক

নিয়ম করে ব্যক্তি সম্বোধনে ‘স্যার’ ও ‘ম্যাডাম’ ডাকা নিষিদ্ধ করেছে কেরালার পালাক্কাড জেলার মাথুর গ্রামের পঞ্চায়েত। ভারতের প্রথম স্থান হিসেবে গত মাসের শেষদিকে এক বিশেষ সভায় এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

দাপ্তরিক ভাষা ব্যবহার সংস্কারে এই দুই ইংরেজি শব্দের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা একটি বড় সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন তারা। পঞ্চায়েতের এই দুই সম্বোধন নিষিদ্ধ করার মূল কারণ উপনিবেশ শাসনের অবশিষ্টাংশ নির্মূলকরণ।

এ বিষয়ে মাথুর পঞ্চায়েতের সহ-সভাপতি পি.আর. প্রসাদ বলেন, ‘ব্রিটিশদের কাছ থেকে ভারতের স্বাধীনতা পাওয়ার ৭৫ বছর চলছে। এখন সময় এসেছে, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনগণের আধিপত্য দেখানোর। ’ 

ওই পঞ্চায়েত অফিসে যারা বিভিন্ন উদ্দেশ্যে যাবেন তাদের আর কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ বা ‘ম্যাডাম’ সম্বোধনের দরকার নেই। পরিবর্তে, তারা দাপ্তরিত কাজে নিয়োজিতদের নাম বা পদবি ধরে ডাকতে পারবেন।

প্রত্যেক পঞ্চায়েত কর্মকর্তা এখন থেকে তাদের নাম ও পদবি টেবিলে প্রদর্শন করবেন।

যদি কোনো বয়স্ক বা জৈষ্ঠ্য কর্মকর্তাকে লোকজন নাম বা পদবি ধরে সম্বোধন করতে অসম্মানবোধ করেন, তবে তারা চেতা (বড় ভাই) অথবা চেচি (বড় বোন) বলে ডাকতে পারবেন। পঞ্চায়েত সরকারি ভাষা বিভাগকে ‘স্যার’ ও ‘ম্যাডাম’র বিকল্প হিসেবে উপযুক্ত শব্দের পরামর্শ দিতে জানিয়েছে।

আরও পড়ুন:

অবশেষে ব্রিটেনের লাল তালিকা থেকে বাদ পড়ছে বাংলাদেশ

বেড়াতে গিয়ে অতিরিক্ত মদ পানে দুই ছাত্রলীগ কর্মীর মৃত্যু

ছাত্রকে যৌন হয়রানি ২৭ বছরের তরুণীর, ২০ বছরের কারাদণ্ড

ইভ্যালির সঙ্গে আর সম্পর্ক নেই তাহসানের


কেবল স্যার বা ম্যাডাম নয়, আবেদনপত্রে ‘আপেক্ষিকুনো বা অভ্যার্থিককুন্নু’ (যার অর্থ: আমি অনুরোধ করছি) ছেঁটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পঞ্চায়েত। তার পরিবর্তে লোকজন ‘অবকাশপেদুন্নু’ (আমি দাবি করছি) বা ‘থালপরিয়াপেদুন্নু’ (আমার ইচ্ছে) লিখতে পারবেন। ’

উল্লেখ্য, প্রায় ২০০ বছর ভারত শাসন করেছে ব্রিটিশরা। ইংরেজরা ভারত ছাড়লেও তাদের আচার-ভাষা বেশ প্রভাব রেখে গেছে উপমহাদেশে। ভারতের প্রত্যেক দাপ্তরিক কাজে ব্যক্তি অভিবাদনে ‘স্যার-ম্যাডাম’ ডাকার প্রচলন আছে।

সূত্র- দ্য হিন্দু

news24bd.tv/ নকিব