বগুড়ায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মোটর শ্রমিক নিহত

বগুড়ায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মোটর শ্রমিক নিহত

অনলাইন ডেস্ক

বগুড়ায় সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত মোটর শ্রমিক ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। নিহত হাসান সরকার (৫০) বগুড়া পৌর এলাকার পালশা সরকার পাড়ার মৃত সামছু সরকারের ছেলে।  

গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে হাসান সরকারকে কুপিয়ে জখম করা হয়। শনিবার সকালে হাসান সরকার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

নিহতের ছেলে জাকির সরকার মৃদুল জানান, তার স্বামী পরিত্যক্তা চাচাতো বোনের সাথে স্থানীয় এক যুবকের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। তাদের আপত্তিকর একটি ছবি একই এলাকার রুপম নামে যুবক হাতে পায়।  

এরপর থেকে ঐ যুবক তার বোনের সঙ্গে সম্পর্ক করতে চায়। কিন্তু বোন রাজী না হলে ওই ছবিগুলো বিভিন্ন জনের মোবাইল ফোনে পাঠিয়ে দেয় ঐ যুবক।

মৃদুল আরও বলেন, তার বোন একটি মোবাইল ফোন কোম্পানির শো-রুমে চাকরি করতেন। সেখানেও ছবিগুলো পাঠানো হয়। এতে করে তার বোনের চাকরি চলে যায়। পরে এ বিষয়ে তার বাবা হাসান সরকার স্থানীয় পৌর কাউন্সিলরের কাছে নালিশ করেন। কাউন্সিলর বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসার জন্য বলেন।

এদিকে গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভবেরবাজার এলাকায় মেহেরা পাম্পের সামনে রুপমের সঙ্গে হাসান সরকারের তর্ক বিতর্ক হয়। এরপর হাসান সরকার পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে ধারালো অস্ত্র নিয়ে পিছন থেকে হামলা করে হাসান সরকারের মাথায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায় প্রতিপক্ষ।  

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে পরদিন ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে ৯ টায় তিনি মারা যান।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক আব্দুর রশিদ সরকার বলেন, ঘটনার পর থেকেই রুপম পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।

NEWS24.TV / কামরুল